মালদা-মুর্শিদাবাদকে ১০ গোল দিয়ে ফের বাংলার সেরা আমের তকমা পেল বাঁকুড়ার আম্রপালি। ২৩ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত কলকাতা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বসেছিল বাংলার আমের মেলা- ২০২২। এতে রাজ্যের সমস্ত আম উৎপাদক জেলাগুলি অংশ নিয়েছিল। মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগণা, হুগলি, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলা অংশ নেয়। মুর্শিদাবাদ, মালদা আমের গড় হলেও স্বাদে-গন্ধে তাদের টেক্কা দিয়েছে বাঁকুড়ার আম্রপালি।
পরপর পাঁচবার সেরা আম্রপালি
তবে এবারই অবশ্য প্রথম নয়, এই নিয়ে পরপর পাঁচবার বাংলার শ্রেষ্ঠ আম হিসেবে নিজের ঝান্ডা তুলে ধরল বাঁকুড়ার কাঁকুড়ে মাটিত উৎপন্ন আম্রপালি। মূলত উদ্যানপালন দপ্তর এর কৃতিত্বে ও উৎসাহেই এই ফল হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
অনেকেই এগিয়ে আসছেন আম চাষে
পাশাপাশি বেশ কিছু বেসরকারি উদ্যোগেও পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে আম্রপালি আম তৈরি হচ্ছে। শুধু আমই নয়, পাশাপাশি আপেল, আঙ্গুর, ড্রাগন ফলের চাষ করা হচ্ছে সফলভাবে। যা ভবিষ্যতে আরও পথ দেখাবে। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি উৎসাহিত হয়ে ফল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। তাঁদের ডেডিকেশন এবং পরিশ্রমেই সেরার শিরোপা এনে দিয়েছে। এই আম রাজ্য ও বাইরের বাজারেও পাঠানো হচ্ছে।
আর কোন জেলা কোন পুরস্কার পেল?
কলকাতা মেলায় বাঁকুড়া থেকে 2 মেট্রিক টন আম্রপালি ও 1 মেট্রিক টন মল্লিকা পাঠানো হয়েছিল। অন্যদিকে আমের বৈচিত্রে সেরা পুরস্কার পেয়েছে মুর্শিদাবাদ। তারা ৮ রকম প্রজাতির আম নিয়ে গিয়েছিল। বাঁকুড়ার পর শ্রেষ্ঠত্বে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে হুগলির আম। আর মালদা পেয়েছে তৃতীয় পুরস্কার। দিল্লিতে বাঁকুড়ার আম্রপালি পাঠানো হয়েছে। সেখানে ১৬ জুন থেকে মেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে। বাঁকুড়া উদ্যানপালন দপ্তর, সেখান থেকেও বাঁকুড়ার আম্রপালি মল্লিকা প্রথম পুরস্কার নিয়ে আসবে।