mamata Banerjeeমর্গের ভিতর থেকে চোখ চুরি গিয়েছে মৃত যুবকের। সেই অভিযোগে যশোর রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গাড়ি থামিয়ে বিক্ষোভ মৃতের পরিবারের সদস্যদের। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা। পুলিশে সামনেই মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষুব্ধদের দাবিও শোনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বারাসত কাজিপাড়ার বাসিন্দা প্রীতম ঘোষ (৩৪) একটি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর দেহ মর্গে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তাঁর চোখ চুরি যায় বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে যশোর রোডে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
এদিন বিকেলে যশোর রোড ধরে বনগাঁ থেকে ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তখন তাঁর কনভয় আটকে দেওয়া হয়। প্রায় ১৫ মিনিট আটকে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাস্তায় নামতে হয় পুলিশকেও। মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। পরিবারের একজনকে চাকরিও দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী গাড়িতে বসেই বলেন, 'যদি কেউ অন্যায় করে থাকে সেক্ষেত্রে তাঁর শাস্তি হবে। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। দোষী ব্যক্তিকে ছাড়া হবে না।'
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তায় সন্তুষ্ট নন অনেকে। বিক্ষুব্ধদের মধ্যে এক মহিলা বলেন, 'এত বড় হাসপাতালে এমনটা কেন হবে? মুখ্যমন্ত্রী বলছেন চাকরি দেবেন। কিন্তু চাকরি পেলে কী জীবন ফিরে পাবে সেই ছেলেটি? উনি তো সবাইকে চাকরি দিয়ে মুখ বন্ধ করিয়ে রাখতে চান। ওঁর গদি ছাড়া উচিত। হাসপাতালের এই অব্যবস্থার দায় কে নেবে?'