দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালি নিয়ে এই মুহূর্তে আলোড়ন রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওই অঞ্চলে। কিন্তু এলাকার সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান এখন কোথায়? তিনি কেন সন্দেশখালি নিয়ে কোনও কথা বলছেন না? সেখানে যাচ্ছেন না কেন? এই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন সময়। এই নিয়ে আজতকের সামনে মুখ খুললেন তিনি। কেন যাচ্ছেন না সন্দেশখালি? তার উত্তরও দিয়েছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ।
নুসরত বলেন, আমি বেশিদিন ক্যামেরা থেকে লুকিয়ে থাকতে পারি না, কারণ আমি কিছু ভুল করিনি। প্রতিদিন আমি ক্যামেরার মুখোমুখি হচ্ছি, এমন নয় যে আমি এর থেকে দূরে আছি, আমি ইতিমধ্যে এই বিষয়ে আমার মনের কথা বলেছি, আমি সবসময় দলের নির্দেশ মেনে চলি, রাজ্য সরকার প্রতিদিন সাহায্য পাঠাচ্ছে সন্দেশখালির স্থানীয়দের কাছে। যা যা দরকার তাই করা হচ্ছে, সাত দিনের মধ্যে লোকটিকে ধরতে বলেছে হাইকোর্ট, রাজ্য সরকার যা যা দরকার তাই করছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি । আমি বুঝতে পারছি না আমার এলাকায় না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন? কিছু পরিস্থিতি এমন রয়ে গেছে। সেখানে '১৭৪' ধারা আছে, আমি সেখানে গেলে আমি আমার সঙ্গে পাঁচজনকে নিয়ে যাবো এবং এটা আইনশৃঙ্খলা বিরোধী হবে। আমি এমন কিছু করব না যা আইনশৃঙ্খলা বিরোধী হয়। মনে রাখবেন আমরা আইনের উপরে নই, আমাদের প্রশাসনের উপর আস্থা রাখতে হবে। জনগণ ন্যায় বিচার পাবে।
প্রসঙ্গত, নারী নির্যাতনের অভিযোগ, দিনের পর দিন জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি, প্রায় বিনা পারিশ্রমিকে দিনের পর দিন কাজ করানো, বিভিন্ন ধরনের সরকারি ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত রাখা, এরকম একাধিক অভিযোগ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অশান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালি৷ দফায় দফায় হয়েছে বিক্ষোভ, জ্বলেছে আগুন৷ কিন্তু, তা সত্ত্বেও একবারের জন্য হলেও নিজের সংসদীয় কেন্দ্র সন্দেশখালিতে পা রাখেননি সেখানকার তারকা সাংসদ নুসরত জাহান৷ এতদিন পর্যন্ত কোনও মন্তব্যও করতে দেখা যায়নি তাঁকে ৷ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে এই নিে তাঁর প্রতিক্রিয়া দেন নুসরত৷ টুইটারে পোস্ট করে তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান লেখেন, ‘এই ধরনের অভিযোগ হৃদয় বিদারক৷ একজন মহিলা হিসাবে, একদন জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি সবসময় আমার দলের গাইডলাইন মেনে কাজ করেছি৷ সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটছে, আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সেখানে সাহায্য পাঠিয়েছেন..মানুষের ভালর জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে৷ আমরা আইনের ঊর্ধ্বে নই৷ সেই কারণে আইন মেনেই আমরা যা করণীয়, তাতে প্রশাসনকে সাহায্য করছি৷’ এরপরেই নুসরত লেখেন, ‘আমি আমার সংসদীয় এলাকার মানুষের পাশে সবসময় থেকেছি, সে আনন্দের সময়েই হোক, কী সমস্যার সময়৷ আমার দলের গইডলাইন অনুযায়ীই আমি কাজ করেছি৷ আমার মনে হয় আমাদের রাজ্য প্রশাসনের উপরে আস্থা রাখা উচিত৷ যেটা অন্যায়, সবসময় তার নিন্দা করা হবে৷ একে অপরকে নিশানা করে লাভ নেইষ বরং একত্রিত হয়ে শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যেই আমাদের এগোতে হবে৷’ এবার এই নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনেও প্রতিক্রিয়া দিলেন নুসরত।