বুধবার বিধায়ক পদে শপথ নিলেন বায়রন বিশ্বাস (Bayron Biswas)। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন তিনি। জয়ের এতদিন পর শপথ গ্রহণের জন্য এদিন সরাসরি তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তোলেন বায়কন বিশ্বাস। তিনি বলেন, "যদি টিএমসির বিধায়ক হতাম তাহলে পরের দিনই শপথগ্রহণ হয়ে যেত। আজকে আমার শপথগ্রহণ হচ্ছে কতদিন পর, আপনারা ভেবে দেখুন তো, এগুলো সব ওপেন, ক্লিয়ার। সবই বুঝতে পারছে জনগণ। এগুলো সব আস্তে আস্তে ফাঁস হচ্ছে। রুলিং পার্টি ইচ্ছা করে শপথে দেরি করালো"। প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেও এতদিন বিধায়ক পদে শপথ নিতে পারেননি বায়রন বিশ্বাস। এই বিলম্বের কারণ জানতে, এর আগে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেন বায়রন।
এদিকে এরই মধ্যে বায়রন বিশ্বাসের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল। ধুলিয়ানের তৃণমূল নেতাকে গালিগালাজ, হুমকির অভিযোগ তোলা হয় বায়রনের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে বায়রনকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করার দাবি তোলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এমনকী অধীর চৌধুরী বায়রনের বক্তব্য সমর্থন করেন কি না, সেই প্রশ্নও ছুড়ে দেন কুণাল। যদিও বায়রনের পাল্টা দাবি, তাঁকে মিথ্যা তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি তৃণমূলে নেই বলেই এত হয়রানি। এ নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই বলেও সাফ জানিয়ে দেন বায়রন বিশ্বাস।
কুণাল ঘোষের বক্তব্য প্রসঙ্গে বায়রন বিশ্বাস বলেন, "কোর্ট যেটা ভাল বুঝবে করবে। আমার বিশেষ কিছু বলার নেই। কে কী বলছে আমাকে গ্রেফতার করবে, ওটা কি ওনার ব্যক্তিগত ব্যপার যে বললেই গ্রেফতার হয়ে যাবে? ওটা মহামান্য আদালত আছে, প্রশাসন আছে, তাহলে ওনাদের দায়িত্বটা ছেড়ে দেওয়া উচিত, ওনার দায়িত্ব নিয়ে নেওয়া উচিত"। এককথায় তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সবটাই মিথ্যা বলেও এদিন দাবি করেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস।
আরও পড়ুন - গ্যাস অম্বল তাড়ায়-পেট ঠান্ডা রাখে বেলপাতা, কখন খাবেন?