Behala Accident: বেহালায় শিশুমৃত্যুতে শিক্ষা, ভোর ৬টা থেকে শহরে লরি বন্ধ, শিশুদের রাস্তা পার হওয়া শেখাবে স্কুল

বেহালার মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার পর টনক নড়ল প্রশাসনের, অনেকেরই এমনটাই অভিযোগ। কারণ শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে চালু হল নয়া বিধি। পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল ৬টার পর কলকাতায় (kolkata) ঢুকবে না কোনও ট্রাক। একই সঙ্গে এখন থেকে কলকাতার সরকারি এবং বেসরকারি সমস্ত স্কুলের বাইরে যান নিয়ন্ত্রণ ও ভিড় সামলানোর দায়িত্ব সামলাবে পুলিশ।

Advertisement
বেহালায় শিশুমৃত্যুতে শিক্ষা, ভোর ৬টা থেকে শহরে লরি বন্ধ, শিশুদের রাস্তা পার হওয়া শেখাবে স্কুলফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • বেহালার মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার পর টনক নড়ল প্রশাসনের, অনেকেরই এমনটাই অভিযোগ।
  • কারণ শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে চালু হল নয়া বিধি।

বেহালার মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার পর টনক নড়ল প্রশাসনের, অনেকেরই এমনটাই অভিযোগ। কারণ শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে চালু হল নয়া বিধি। পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল ৬টার পর কলকাতায় (kolkata) ঢুকবে না কোনও ট্রাক। একই সঙ্গে এখন থেকে কলকাতার সরকারি এবং বেসরকারি সমস্ত স্কুলের বাইরে যান নিয়ন্ত্রণ ও ভিড় সামলানোর দায়িত্ব সামলাবে পুলিশ। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে থাকবেন একজন ওসি কিংবা সম মর্যাদার অফিসার। শনিবার থেকেই এই নির্দেশ লাগু করার নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। কিন্তু এই নয়া বিধি কতদিন মানা হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। 

নয়া বিধিতে বলা হয়েছে ভোর ছ’টা থেকে কলকাতায় নিষিদ্ধ হচ্ছে লরি। আগে এই সময়টা ছিল সকাল আটটা। বেসরকারি বা সরকারি স্কুল হিসেবে আলাদা কিছু নয়, সমস্ত স্কুলের সামনে স্কুল চলাকালীন ট্র্যাফিক পুলিশের অফিসার থাকবেন। 

শুক্রবার ভোরে বেপরোয়া লরি পিষে দেয় দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া একরত্তি সৌরনীল সরকারকে। ঘটনার পর তুলকালাম শুরু হয় বেহালায়। ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। তারপর থেকেই একাধিক পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ। রাস্তা পেরোনোর জায়গাগুলিতে একাধিক ড্রপগেট বসানো হয়েছে। বাস বা অটোয় ওঠার জন্য নির্ধারিত জায়গায় দাঁড়াচ্ছেন যাত্রীরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পথচারীদের রাস্তা পারাপার, যান চলাচল ব্যবস্থার তদারকি করছেন খোদ ডায়মন্ড হারবারের ওসি ( ট্রাফিক) অমলেন্দু চক্রবর্তী।

অন্যদিকে, এবার বেহালা থেকে শিক্ষা নিয়ে স্কুলে স্কুলে রাস্তা পার করার পাঠ দেবে পর্ষদ। প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের শেখানো হবে রাস্তা পার হওয়া। কোন সিগন্যালে রাস্তা পার হতে হয়, কখন নয়, পড়ুয়াদের স্কুলেই শেখাবেন শিক্ষকরা। সূত্রের খবর, শীঘ্রই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক হবে রূপরেখা। ইতিমধ্য়েই প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। 

তবে এই পুলিশি ‘তৎপরতা’ নিয়ে সন্দিহান অভিভাবক এবং স্থানীয়দের একাংশ। তাঁদের মতে, এভাবে পুলিশকে রাস্তায় নেমে যান নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় না। এই সক্রিয়তাও বেশিদিন থাকবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।

Advertisement


                

POST A COMMENT
Advertisement