দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কিছুটা হলেও কমেছে। লাখের নীচে নেমেছে দৈনিক সংক্রমণ। এই আবহে দু'দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ ঘোষণা করেছে এবার থেকে সকল দেশবাসী বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবেন। মোদীর বক্তব্য, এবার থেকে দেশের কোন রাজ্যকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য কোনও খরচ করতে হবে না। এই নিয়ে সাত তারিখই প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ট্যুইটারে লিখেছিলেন, ‘বিলম্বিত সিদ্ধান্ত’। বুধবার নবান্নে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীকে সরব হতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এবার মোদীকে সরানোই তাঁর লক্ষ্য সেকথাও জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বার বার দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করতে দেখা গেছে তৃণমূলনেত্রীকে। বুধবার দিল্লির কৃষক আন্দোলনের প্রধান মুখ রাকেশ টিকায়েত এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। জয়ের জন্য তৃণমূলনেত্রীকে অভিনন্দন জানান টিকায়েত। এরপর চলে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন। সেখানেই ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আক্রমণ শানান মমতা।
ভ্যাকসিন- মোদী ও মমতা
সোমবার ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি জানিয়ে গত ফেব্রুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রীকে একাধিক চিঠি লিখেছিলাম। এদিন মমতা বলেন, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২ কোটি মানুষকে টিকা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রধানমন্ত্রীর থেকে ভাষণ ছাড়া কিছুই জোটেনি। মমতার অভিযোগ, "দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত। কেউ কিছু বললে ভয় দেখায়। অফিসারদেরও ভয় দেখাচ্ছে। যেমন নোটবন্দি করেছিল, তেমন বুলিবন্দি করেছে। সব বিরোধীদের অনুরোধ করব। বিজেপিতেও অনেকে আছেন। তাঁদেরও বলব একসঙ্গে আসুন। মোদীকে দেখে তাঁরা গিয়েছিলেন।" বাংলরা মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "নিখরচায় টিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কৃতিত্ব নেওয়ার কিছু নেই। এটা জনতার টাকা। সেই টাকা কোথায় গেল। সুপ্রিম কোর্ট এ ব্য়াপারে জানতে চেয়েছে। আমরা ২০০ কোটি টাকা দিয়ে টিকা কিনেছি। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ ছাড়া কিছুই দেননি। বিহারে ভোটের আঘে তো বলেছিলেন নিখরচায় টিকা দেবেন। তার কী হল? সব কথায় রাজ্য সরকারকে বুলডোজ করা ঠিক নয়।"