রাজ্যে বেড়ে চলা গণপিটুনি ও কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে আজ রাজ্যের বিশিষ্টিজনদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মাসের ৪ তারিখ লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছিল। এ বার সেই ফল ঘোষণার মাসপূর্তির দিনেই পশ্চিমবঙ্গের বিদ্বজ্জনেদের একাংশকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টেয় আলিপুরের ‘সৌজন্য’-এ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি চা চক্রের আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন করে বিদ্বজ্জনদের ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক আবুল বাশারের মতো বিশিষ্ট জনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আজকের এই বৈঠকে।
প্রসঙ্গত রাজ্যে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনায় পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধারাবাহিক ভাবে এমন ঘটনা ঘটে চললেও গোয়েন্দারা কেন আগে থেকে সেই খবর জানতে পারছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অত্যন্ত কড়া হাতে এ ধরনের হিংসার মোকাবিলা করতে পুলিশকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে ব্যাপক প্রচারও চালাতে বলেছেন। এই পরিস্থিতিতে আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ আলিপুরের ‘সৌজন্য’ সভাগৃহে বিদ্বজ্জনেদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, বৈঠকে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের পাশাপাশি বাংলায় ক্রমশ বেড়ে চলা গণপিটুনির ঘটনা এবং হিংসার মনোভাব ঠেকাতে মানুষকে সচেতন করার কাজে বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শ চাইতে পারেন মখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্যের শিল্প-সংস্কৃতি জগতের গণ্যমান্যরা ছাড়াও লোকসভা ভোটের আগে যে ‘দেশ বাঁচাও গণতন্ত্র বাঁচাও মঞ্চ’ তৈরি হয়েছিল, তার বেশ কয়েকজন সদস্যকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
শেষবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিদ্বজ্জনেদের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছিল গত দুর্গাপুজোর বিজয়া সম্মিলনীতে। দীর্ঘদিন বাদে মুখ্যমন্ত্রী আবার তাঁদের নিয়ে বৈঠকে বসায় রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। জানা যাচ্ছে গণপিটুনি বন্ধে সমাজের বিশিষ্টজনদের আসরে নামানোরও পরিকল্পনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের দমন পীড়ন নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠন করা নিয়েও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন মমতা।