অগ্নিগর্ভ নেপাল। Gen Z এর আন্দোলনের চাপের মুখে পড়ে পদত্যাগ করেছেন সেখানকার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। গণবিদ্রোহের দাবি মেনে নতিস্বীকার করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে তিনি বলেন, 'নেপাল আমার দেশ নয়। ওই বিষয়টা কেন্দ্রীয় সরকার দেখবে। আমরা প্রতিবেশীদের ভালোবাসি। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বাংলাদেশকে ভালোবাসি। যদি কেন্দ্র কিছু বলে, অবস্থান নেয়, তারপরই আমরা যা বলার বলতে পারব। এখনই কোনও কোনও মন্তব্য করতে পারব না।'
আমাদের রাজ্যের উত্তরবঙ্গের একটা অংশ নেপালের সঙ্গে বর্ডার ভাগ করে। সেজন্য ওই সব এলেকার মানুষকেও সতর্ক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'শিলিগুড়ি, কালিম্পং অঞ্চলে বিস্তীর্ণ বর্ডার আছে। নেপালকে আমরা ভালোবাসি। কেউ কোনও ঝামেলায় জড়াবেন না। আমরা নেপালের বিষয়ে নাক গলাব না। আমি মনে করি, প্রতিবেশী দেশ ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকব। আমাদের কাছে সরকার কোনও খবর দেয়নি। কেন্দ্র সরকার যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। আমরা সমর্থন করব। তবে প্রতিবেশী দেশে শান্তি বজায় থাক, এটাই চাই।'
SIR এর বিরুদ্ধে তিনি ও তাঁর দল, সেই অবস্থানের কথা ফের স্পষ্ট করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, একাধিক প্রাক্তন নির্বাচম কমিশনার বলেছেন, কয়েক মাসে SIR করা সম্ভব নয়। এটাই বাস্তব। কয়েক বছর তো সময় লাগবেই। তাঁর কথায়, 'আমরা SIR এর বিরুদ্ধে। সে কথা আগেও বলেছি। এভাবে ভোট হয় না। আমরা এর বিরোধিতা করব। ভোটার কার্ডকেও পরিচয়পত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।'
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে নেপাল জ্বলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সেখানকার সরকার। তার প্রতিবাদে Gen Z পথে নামে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় সেনা ও পুলিশের সঙ্গে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতেই ঘটনার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেন সেখানকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর মনে করা হয়েছিল হয়তো নেপালের পরিস্থিতি শান্ত হবে। কিন্তু তা হয়নি। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝাঁঝ বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি এতটাই অশান্ত হয় যে, সেনার পরামর্শে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, নেপালের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।