আজ মঙ্গলবারই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা ঢুকবে চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সভা থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকে যাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এখনও পর্যন্ত ১৭১৮১ কোটি টাকা কৃষকদের দান করেছি। আজ মঙ্গলবার ১ কোটি ১ লাখ কৃষককে মোট ২ হাজার ৮০৬ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে খারিপ মরসুমে ১ কোটি ১ লাখ কৃষককে সাহায্য দেওযা হয়েছিল। যাঁদের দু একর জমি আছে তাঁরা বছরে ১০ হাজার টাকা পান। আর যাঁরা ভাগচাষি তাদের ৪ হাজার টাকা দেওয়া হয় বছরে।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যখন তিনি কৃষকবন্ধু প্রকল্প শুরু করেন তখন ৩৯ লক্ষ কৃষক ছিলেন এই প্রকল্পে। এখন ১ কোটিরও বেশি মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। যে কৃষক মারা গেছেন, তাঁদের ২ লাখ টাকা করে বেনিফিট দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রবিশস্য ও খারিফ শস্য চাষের সময় এই অনুদানের অর্থ পাওয়া যায়। অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে রবিশস্য চাষের টাকা দেয় সরকার। আর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে খারিফ শস্য চাষের অনুদান দেওয়া হয়। কৃষকের ১ একরের কম জমি থাকলে তিনি বছরে ৪,০০০ টাকা অনুদান পেয়ে থাকেন। কৃষকের জমির পরিমাণ ১ একরের বেশি হলে তিনি বছরে ১০,০০০ টাকা অনুদান পান।
টাকা ঢুকেছে কি না কীভাবে জানবেন?
আপনি krishakbandhu.net এ গিয়ে কৃষক বন্ধু স্টেটাস চেক করতে পারেন। কৃষকবন্ধুর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট krishakbandhu.net এ যান। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নথিভুক্ত কৃষকদের তথ্যের একটি অপশন পাওয়া যাবে। এই অপশনে ক্লিক করুন। আপনাকে অন্য পেজে নিয়ে যাওয়া হবে। আপনার বৈধ ভোটার আইডি কার্ড নম্বর দিতে হবে ও সার্চ বটনে ক্লিক করতে হবে। যদি Transaction Successfully লেখা দেখা যায় তাহলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স চেক করে দেখতে হবে। আপনি যদি কোনও রেকর্ড খুঁজে না পান, তাহলে আপনাকে আপনার স্টেটাস সম্পর্কে জানতে CSC বা কৃষি সহকারী পরিচালকের অফিসে যেতে হবে।
দ্বিতীয় পদ্ধতি: কৃষক বন্ধুর টাকা ঢুকেছে কি না তা জানার সব থেকে সহজ উপায় হল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট চেক করা। অথবা আপনার ফোনের মেসেজ বক্স চেক করুন। যদি আপনার ফোনের মেসেজে অথবা অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট ২০০০ টাকার ঢোকার মেসেজ আসে তাহলে জানবেন যে কৃষক বন্ধুর টাকা ঢুকেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, রাজ্যজুড়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী ও ৮৭৭৬ স্কুল ও মাদ্রাসার ১২ লাখ ২৪ হাজার জনকে সাইকেল। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সাইকেল পাবেন সবাই। ১ কোটি ১৫ লাখের বেশি জনকে সাইকেল দেওয়া হবে। যার জন্য ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।