বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ভ্যাকসিন দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ করল রাজ্য সরকার৷ এদিন রাজ্য সরকারের তরফে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে আর ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে না রাজ্য সরকার। উৎপাদক সংস্থার থেকে সরাসরি টিকা কিনে নিতে হবে তাদের। সম্প্রতি কেন্দ্রের কাছে ৩ কোটি ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তার মধ্যে ১ কোটি ডোজ বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে দেওয়ার কথা ছিল। বেসরকারি হাসপাতালকে ভ্যাকসিন দেওয়া না হলে ওই টিকা কার জন্য চেয়েছিল রাজ্য সরকার? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
কয়েকদিন আগেও রাজ্য সরকার নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ৩০ এপ্রিলের পর ভ্যাকসিনের সমস্ত পুরনো স্টক সরকারকে ফেরত দিতে হবে। ১ মে থেকে করোনার টিকাকরণ চালাতে হলে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ভ্যাকসিন কিনে নিতে হবে উত্পাদনকারী সংস্থার কাছ থেকে। কিন্তু পরে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও ভ্যাকসিন দেবে বলে তারা জানায়৷ এবং সেইমতো কেন্দ্রকে বরাত দিয়েছিল রাজ্য৷ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে ভ্যাকসিনের ৯৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ডোজ মজুত রয়েছে । তারা বলেছে, এ পর্যন্ত ১৭ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আগামী তিনদিনের মধ্যে কোভিড ভ্যাকসিনের আরও ৩৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩০টি ডোজ তাদের দেওয়া হবে। এদিকে, দেশবাসীকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে কী ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার, সরাসরি তা মোদী সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট সোমবারের মধ্যে কেন্দ্রকে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।
করোনার টিকাকরণ নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। টিকাকরণের তৃতীয় পর্যায়ের নীতি বাতিলে দাবি জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দেশে ভ্যাকসিনের ঘাটতি দেখা গিয়েছে। তাই দ্রুর অভিন্ন টিকা নীতি বাস্তবায়িত করা হলে ভালো হয়। অন্যদিকে এদিনই রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখেছে রাজ্য সরকার।