প্রাথমিকের শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। চন্দ্রনাথের চার্জশিটে নাম থাকলেও তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারছিল না ইডি। তবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দিয়েছেন। সেই তথ্য পেশ করার পরই কারামন্ত্রীকে নির্দেশ দেয় আত্মসমর্পণের। আদালতের ইডিকে আরও নির্দেশ, চন্দ্রনাথ সিনহার বিরুদ্ধে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে সমন জারি করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।
চন্দ্রনাথ সিনহার বিরুদ্ধে যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল, তাতে ইডির অভিযোগ ছিল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বোলপুরের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ তারা পেয়েছে। তবে প্রায় দেড় কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে সেখানে। কিন্তু অত টাকা কীভাবে সেই অ্যাকাউন্টে এল তার জবাব দিতে পারেননি মন্ত্রী।
গোয়েন্দাদের অনুমান, এই দেড় কোটি টাকা প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। অভিযোগ, চন্দ্রনাথের অ্যাকাউন্টে যখন টাকার সন্ধান মেলে তখন প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও এক অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের ডায়েরিতে মন্ত্রীর নাম ছিল। তার পাশে টাকার অঙ্কও বসানো হয়েছিল।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বা কালীঘাটের কাকু সহ একাধিকজনকে। সেই তালিকাতে যুক্ত করা হচ্ছে চন্দ্রনাথকে।
কোর্টের নির্দেশের পর আর চন্দ্রনাথের বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে কোনও বাধা রইল না। এর আগে দুবার ইডি-র তলব এড়িয়েছিলেন চন্দ্রনাথ সিনহা। দিন কয়েক আগে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন চন্দ্রনাথ। এবার দেওয়া হল আত্মসমর্পণের নির্দেশ।