scorecardresearch
 

Bose Vs Mamata: মমতার 'ধর্না' হুঁশিয়ারি, মাঝরাতে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে VC নিয়োগ, পাল্টা রাজ্যপাল

গতকাল ধনধান্য স্টেডিয়াম থেকে শিক্ষকদের শিক্ষারত্ন সম্মান দেওয়ার অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে'চ্যালেঞ্জ' ছুড়ে দেন। তবে সেই চ্যালেঞ্জের পরেও ডোন্ট কেয়ার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এবার কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল।

Advertisement
 মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পাল্টা চ্যালেঞ্জ রাজ্যপালের মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পাল্টা চ্যালেঞ্জ রাজ্যপালের

গত রবিবার রাতে ১৬টি  বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই নিয়ে শিক্ষক দিবসের দিনেই কড়া বার্তা দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল ধনধান্য স্টেডিয়াম থেকে শিক্ষকদের শিক্ষারত্ন সম্মান দেওয়ার অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে'চ্যালেঞ্জ' ছুড়ে দেন। তবে সেই চ্যালেঞ্জের পরেও ডোন্ট কেয়ার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রীর  হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এবার  কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপাল কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে অধ্যাপক কাজল দে-কে নিয়োগ করছেন। রাজ্যপাল নিয়োগপত্রে সই করছেন, তেমন একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। রাজভবনের তরফে উপাচার্য নিয়োগের খবর প্রকাশ্যে আনা হয়েছে । আর তার ফলে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত আরও বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল । উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই রাজ্যপালের নাম না করে তাঁর এই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি । কোনও কিছু তোয়াক্কা না করে নিজের কাজে ব্রতী থাকলেন রাজ্যপাল  সিভি আনন্দ বোস ।

প্রসঙ্গত অভিযোগ, রাজ্য শিক্ষাদফতরের সঙ্গে আলোচনা না করেই উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন রাজ্যপাল বোস। এই নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এখন চরমে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত কড়া ভাষায় রাজ্যপালকে বিঁধেছেন। মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের মঞ্চ থেকে  রাজ্যপালের প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপাল পদাধিকার বলে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হলেও অর্থ বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রাজ্যপালের কথা মেনে চললে আর্থিক সাহায্য করবে না রাজ্য । 

আরও পড়ুন

মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর এমন হুঁশিয়ারি পরও অবশ্য দমতে দেখা যায়নি রাজ্যপালকে। এদিকে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টোয় বিকাশ ভবনে ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে বৈঠক করবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য হসু। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রেজিস্টারদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন। বিশেষত, রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোসের দেওয়া বিভিন্ন নির্দেশ সম্পর্কে ওই বৈঠকে কথাবার্তা হবে। শিক্ষা দফতর সূত্রে এ-ও জানা যাচ্ছে, ওই দিন রেজিস্ট্রাররা নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন শিক্ষামন্ত্রীকে। এমন আবহে মঙ্গলবার মাঝরাতে রাজ্যপালের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ আবার রাজ্য সরকারের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া বলে মনে করা হচ্ছে। 

Advertisement

Advertisement