সন্দেশখালি যেতে বাধা পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার তাঁর করা মামলার শুনানি হতে পারে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলায় শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্য সরকার ১৪৪ ধারার উল্লেখ করে শুধুমাত্র বিরোধী দলের নেতাদের সন্দেশখালি যেতে বাধা দিচ্ছে। যখন তৃণমূলের নেতারা এলাকায় অবাধ প্রবেশাধিকার পেয়েছেন।
গতকাল সন্দেশখালি যাওয়ার পথে জায়গায় জায়গায় শুভেন্দুর পথ আটকেছে পুলিশ। সব টপকে বেলা সওয়া দুটো নাগাদ সন্দেশখালি পৌঁছন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন তিন বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি, তাপসী মণ্ডল ও শঙ্কর ঘোষ। কিন্তু সরবেড়িয়া পৌঁছতেই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। মিনাখাঁ-র এসডিপিও-র সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। শুভেন্দুর বাসের চাকা সেখানেই স্তব্ধ হয়। বাস থেকে নেমে পড়তে বাধ্য হন শুভেন্দু। সেখানেই বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, পুলিশ বুট দিয়ে তাঁকে মেরেছে। তাঁর পা চেপে দিয়েছে। রাস্তায় বসে পড়েন শুভেন্দু। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
পুলিশকে শুভেন্দু বলেন, 'আমাকে আটকাচ্ছেন কেন? আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি।' পুলিশকর্তা তখন বলেন, 'সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা শান্তির কথা মাথায় রেখে যেতে দিতে পারব না।' সেইসঙ্গে শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দেন শুক্রবার তিনি কলকাতা হাইকোর্টে যাবেন। হুঁশিয়ারি মতোই আজ তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।