Arpita Mukherjee: ইডির নজরে এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রাও। এমনটাই খবর ইডি সূত্রে। জানা গিয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের অন্তত ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত (freezed) করেছে ইডি। এবার তদন্তকারীদের নজরে পার্থ এবং অর্পিতার ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও।
কী দাবি অর্পিতার
এরই মধ্যে বিস্ফোরক দাবি করেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ড্রাইভার প্রণব ভট্টাচার্য। ইন্ডিয়া টুডে-কে তিনি জানিয়েছেন, "অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের Honda City গাড়িটি তিনি চালাতেন। বাকি ৩টি গাড়ি তিনি চালাতেন না। শেষ কিছু মাস ধরে সেই গাড়িগুলি দেখতেও পাচ্ছিলেন না। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কসবায় তাঁর ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্ট’ নামে অফিসটিতে যেতেন। এর পাশাপাশি নেল আর্টের পার্লারেও ওই গাড়িতে যেতেন অর্পিতা। ড্রাইভারকে সময়মতো বেতনও দিয়ে দেওয়া হত।" সেই সঙ্গে ওই ড্রাইভার জানান, "পার্থ চট্টোপাধ্যায় মাঝেমধ্যে দেখা করতে আসতেন। আমাকে যখন ছুটি দেওয়া হত কাজ থেকে, তারপরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় আসতেন। এই মাসের বেতন আমি এখনও পাইনি। ইডি আধিকারিকরা আমাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন। আমার মোবাইলও দেখেছেন। আমি কোনও ভয় পাইনি। কারণ আমি কোনও অন্যায় করিনি।"
হাসপাতালে ঢোকার মুখে কান্না অর্পিতার
শুক্রবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে হুলুস্থূলু কাণ্ড ঘটে জোকা ইএসআই হাসপাতালে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টা পর পর শারীরিক পরীক্ষা করানোর কথা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। শুক্রবার দুজনকেই জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু হাসপাতালে ঢোকার মুখেই হুলুস্থুলু কাণ্ড ঘটে যায়। গাড়ি থেকে কোনও মতেই নামতে চাইছিলেন না অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। শেষে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মহিলা জওয়ানরা তাঁকে টেনে নামান। কিন্তু তারপরে আবার মাটিতে বসে পড়েন অর্পিতা। সেই সঙ্গে কাঁদতে শুরু করে দেন তিনি। শেষে একপ্রকার জোর করে অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে হাসপাতালের ভিততে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময়েও তিনি কাঁদতে থাকেন।