শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় ইডি-র দফতরে হাজিরা দিলেন অভিনেত্রী ও যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। সাড়ে ১১টার খানিক আগেই তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন। এদিকে, ইডির তলবকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিহিত করেছেন সায়নী। সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, 'এই তলব রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। প্রচারে ছিলাম। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে ডাকা হয়েছে। আমি সশরীরে উপস্থিত হয়েছি। তদন্তে সাধ্যমতো সহযোগিতা করব।'
মঙ্গলবার সন্ধেয় সায়নীর কাছে ইডি-র নোটিশ যায়। ইডি সূত্রের খবর, তাঁকে কয়েকটি সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন এবং যুব নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। তিনি কুন্তলকে চেনেন কি না, কুন্তলের সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, সবই খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
মাস কয়েক আগে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে নিয়ে সম্পর্কে মন্তব্য করেন সায়নী। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, "ও আমাদের যুব কমিটিতে রয়েছে। উনি হুগলির নেতা, তাই আমার সঙ্গে অনেক ছবি দেখা গিয়েছে। যিনি কয়েক হাজার মানুষের চোখের জল যাঁরা ফেলেছেন তাদের বিচার হবে। তাদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। তা তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায় হোক বা কুন্তল ঘোষ। আমি যুব সভানেত্রী হিসেবে কোনও যুবনেতাকে সেফ গার্ড করব না।"