scorecardresearch
 

Swati Ghosh:মুখ উজ্জ্বল বাংলার, আন্তর্জাতিক আর্ট ফেস্টিভ্যালের বিচারক গড়িয়াহাটের স্বাতী

দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আন্তর্জাতিক আর্ট ফেস্টিভ্যালে। আর সেখানেই বিচারকের ভূমিকায় এবার দেখা যাবে বঙ্গতনয়া স্বাতী ঘোষ৷কে। দক্ষিণ কোরিয়ার জিওজে শহরে ইন্টারন্যাশনাল কালচার অ্যান্ড আর্ট ফেডারেশন ও ‌‌ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়ামের যৌথ উদ্যোগে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠত হচ্ছে। এখানেই বিচারকের দায়িত্ব পেলেন গড়িয়াহাটের বাসিন্দা স্বাতী ঘোষ। বাংলা থেকে প্রথম মহিলা হিসেবে তিনি সামলাবেন বিচারকের দায়িত্ব।

Advertisement
Swati Ghosh Swati Ghosh
হাইলাইটস
  • আন্তর্জাতিক আর্ট ফেস্টিভ্যালের বিচারক হলেন স্বাতী ঘোষ
  • দক্ষিণ কোরিয়ার জিওজে শহরে বসছে এই ফেস্টিভ্যালের আসর
  • সেখানে ১৪ জনের বিচারকমণ্ডলীতে রয়েছেন স্বাতীও


দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে  আন্তর্জাতিক আর্ট ফেস্টিভ্যালে। আর সেখানেই  বিচারকের ভূমিকায় এবার দেখা যাবে   বঙ্গতনয়া স্বাতী ঘোষ৷কে। দক্ষিণ কোরিয়ার জিওজে শহরে ইন্টারন্যাশনাল কালচার অ্যান্ড আর্ট ফেডারেশন ও ‌‌ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়ামের যৌথ উদ্যোগে এই প্রদর্শনী  অনুষ্ঠত হচ্ছে।  এখানেই বিচারকের দায়িত্ব পেলেন গড়িয়াহাটের বাসিন্দা স্বাতী ঘোষ। বাংলা থেকে প্রথম মহিলা  হিসেবে তিনি সামলাবেন বিচারকের দায়িত্ব। 

 

 

জানা যাচ্ছে একাধিক বিভাগে অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কার দেওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের নিয়ে গঠিত ১৪ জনের একটি বিচারকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য স্বাতী ঘোষ। ইন্টারন্যাশনাল কালচারাল অ্যান্ড আর্ট ফেডারেশনের এই প্রদর্শনীতে ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৬০টি দেশ থেকে প্রায় ২৬০-এরও বেশি শিল্পীর কাজ পৌঁছে গিয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁদের শিল্পকলা প্রদর্শিত হবে৷ গত সাত বছর ধরে এই আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে, বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক এবং শিল্প কলার প্রদর্শনী হয়ে থাকে৷

 

 

স্বাতীর জন্ম ও বেড়েওঠা কানপুরে। সেখানেই গ্র্যাজুয়েশন। বিয়ের পর চলে আসেন কলকাতায়। তারপর থেকেই  আর্ট নিয়ে শুরু হয় সিরিয়াস পড়াশোনা। স্বামী মার্চেন্ট নেভি অফিসারের চাকরি ছেড়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় জাহাজ তৈরির সংস্থায় যোগ দেওয়ায় ছেলেকে সঙ্গী করে স্বাতীও একসময়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন কোরিয়ার ইঞ্চিওনে ৷ তখনও করোনার দাপট শুরু হয়নি ৷ কিন্তু অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে যায় ৷ লকডাউনের জেরে ধীরে ধীরে বন্ধ হতে থাকে দেশে ফেরার উড়ান ৷ চরম দুশ্চিন্তা এবং উৎকন্ঠার মধ্যেই দিন কাটছিল ৷ হঠাৎই স্বাতী একদিন জানতে পারেন, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার একটি আন্তর্জাতিক অঙ্কণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ৷ শিল্পী স্বাতী বসে পড়েন কাগজ-পেন্সিল নিয়ে ৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬০০ জন শিল্পীর আঁকা ছবিগুলির মধ্যে সেরার সেরা শিরোপা ছিনিয়ে নেয় স্বাতীর আঁকা ছবিটিই ৷ যা জায়গা পায় দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি মিউজিয়ামে ৷

Advertisement

 

 

গতবছর দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত সেই প্রতিযোগিতায়  নিজের ‘গুরুজি’র ছবি এঁকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নজির গড়েছিলেন এই বাঙালি কন্যা। বিশ্বের কাছে বাংলা তথা ভারতের মুখ উজ্জ্বল করে ইতিহাস রচনা করেন স্বাতী ঘোষ।  জানা যাচ্ছে, ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়াম এশিয়া প্যাসিফিক থেকে তাঁকে 'কালচারাল অ্যাম্বাসেডর' হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এই সংস্থা UNESCO  সঙ্গেও কাজ করে।  এ বছর ফের একবার দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন স্বাতী ৷ সে দেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক আর্ট ফেস্টিভ্যালে বিচারকের ভূমিকায় এবার দেখা যাবে এই বাঙালি কন্যাকে।

স্বাতী জানান, ছোটো থেকে তাঁর আঁকার প্রতি ঝোঁক ছিল। স্বাতীর কথায়, তাঁদের পরিবারের আধ্যাত্মিক গুরু যোগীরাজ শক্তিকিঙ্কর লাহা রায় তাঁর কাজের অনুপ্রেণার উৎস৷ এছাড়া বাবা পার্থসারথী রায়চৌধুরী, মা পর্ণা রায়চৌধুরী এবং স্বামী প্রসেনজিৎ ঘোষও বরাবরই তাঁর কাজের জন্য উৎসাহ দিয়েছেন এবং সাহায্য করেছেন৷ স্বামীর সঙ্গে কর্মসূত্রে নরওয়েতে থাকা কালীনও সেখানেও আর্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছেন স্বাতী।  এ ছাড়াও তিনি সিঙ্গাপুর, ইংল্যান্ডে ছবি আঁকা শেখেন। এ ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন শহরের পাশাপাশি ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়ায় তাঁর শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়েছে। এখন কলকাতায় রয়েছেন তিনি৷ আইসিএএফের ডাকে এবার দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি৷

 

Advertisement