ভবানীপুরে হাইভোল্টেজ নির্বাচন। প্রার্থী সেখানে স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রচারের শেষবেলায় সেই ভবানীপুরের হাজির হয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসেবে সদ্য প্রাক্তন হওয়া দিলীপবাবু। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের হয়ে প্রচারে নামতেই ঘটে গেল বিপত্তি। ভবানীপুরে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ । তাঁকে ঘিরে যেমন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ উঠল, তেমনই দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধেও পাল্টা বন্দুক তাক করার অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় এক বিজেপি কর্মীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রচারের শেষদিন দিলীপ ঘোষ যখন যদুবাবুর বাজারে লিফলেট বিলি করছিলেন, তখনই তাঁর সামনে চলে আসেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে ঘিরেও শুরু হয় 'জয় বাংলা' স্লোগান। পাল্টা 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। স্লোগান দেন দিলীপ ঘোষ নিজেও। সেই সময়ে বিজেপি সাংসদকে নিগ্রহ করা হয় বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। তৃণমূলের হামলায় ভাবনারায়ণ সিং নামে এক বিজেপি কর্মীকে মাথা ফেটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকেই।
শেষপর্যন্ত আহত কর্মীকে নিয়ে গাড়িতে করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, পুরো ঘটনা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন। জানা যাচ্ছে, ভবানীপুরে শেষদিনের প্রচারে ৮০ জন নেতাকে ময়দানে নামানোর পরিকল্পনা ছিল গেরুয়া শিবিরের। এদিন প্রচার করতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলও। বিজেপির প্রচার মঞ্চের সামনে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল কর্মীরা।