গত পঞ্চায়েত ভোটে বারবার অশান্তি খবর এসেছে ভাঙড় থেকে। ভোট পরবর্তী সময়েও পাওয়া যাচ্ছে হিংসার খবর। সূত্রের খবর, আর এই আবহেই ভাঙড়-কাশীপুর-কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা ভেঙে ৯টি থানার প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের তরফে এমন প্রস্তাব পাঠান হয়েছে। প্রস্তাবে ভাঙড় এলাকার মোট ন’টি থানাকে নিয়ে নতুন ভাঙড় ডিভিশন গঠন করার কথা বলা হয়েছে।
এখন ভাঙড়ে মোট ৩টি থানা রয়েছে। তা ভেঙেই ৯টি থানা করার তোড়জোড় চলছে। এই এলাকা কলকাতা পুলিশের আওতায় এলে ৩টি থানা ভেঙে ৯টি থানা করা যায় কি না তার সম্ভাব্য প্রস্তাব দিয়েছে ভূমি সমীক্ষা দফতর। বর্তমানে ভাঙড় বিধানসভায় তিনটি থানা - কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স, কাশীপুর থানা ও ভাঙড় থানা। এরসঙ্গে যুক্ত হতে পারে হাতিশালা, পোলেরহাটে নতুন থানা। নতুন থানা হতে পারে উত্তর কাশীপুর, বিজয়গঞ্জ বাজার, নারায়ণপুর, ভদ্র, চন্দনেশ্বরেও। ২ টি করে গ্রাম পঞ্চায়েত পিছু ১ টি থানার প্রস্তাব। একটি বা দুটি ট্রাফিক গার্ড করারও প্রস্তাব রয়েছে।
আচমকা কেন এই সিদ্ধান্ত?
জানা গিয়েছে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই এই নয়া সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কাশীপুরের ৪৫টি, ভাঙড়ের ৭৬ এবং লেদার কমপ্লেক্সের ২৩টি মৌজা রয়েছে। ওই সব মৌজাকে ভেঙে মোট ৯টি থানা করা হচ্ছে। ওই ৯টি থানা হল, লেদার কমপ্লেক্স, হাতিশালা, পোলেরহাট, উত্তর কাশীপুর, ভাঙড়, বোদরা, চন্দনেশ্বর, নারায়ণপুর, উত্তর কাশীপুর, বিজয়গঞ্জ বাজার। ৯টি থানায় ১৪৪ মৌজাকে ভাগ করার পর, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সের আওতায় থাকবে ১৩টি মৌজা, হাতিশালার অন্তর্গত হবে ১৯টি, পোলেরহাটের অন্তর্গত থাকবে ১০টি, উত্তর কাশীপুর থানার অন্তর্গত হবে ১৫টি, বিজয়গঞ্জ বাজার থানার আওতায় থাকবে ১১টি, নারায়ণপুর থানার অন্তর্গত হবে ১৭টি , ভাঙড় থানার অন্তর্গত হব ১৯টি, বোদরার অন্তর্গত হবে ২০টি এবং চন্দনেশ্বরের অন্তর্গত হবে ২০টি মৌজা।
প্রসঙ্গ, ভোটপর্বের অশান্তির পর দিনকয়েক আগেই ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনে রাজ্য সরকার। এজন্য আলাদা ডিভিশন তৈরিরও পরামর্শও দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ মোতাবেকই ভাঙড় ও কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সের তিনটি থানা ভেঙে নতুন ন’টি থানা তৈরি করছে লালবাজার। সেই সঙ্গে, এই ন’টি থানা নিয়ে যে নতুন ডিভিশন চালু হচ্ছে, তার মানচিত্রও প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশ। জানা গেছে, নতুন এই ডিভিশনটির প্রস্তাবিত নাম হচ্ছে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন ডিভিশন।