
ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় জামিন পেলেন না আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক (MLA) নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqui)। নওশাদ-সহ ১৭ জনকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। এমনকী সংঘর্ষের ঘটনায় ধৃত নাবালক ISF কর্মীরও জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কলকাতার ধর্মতলায় সংঘর্ষের ঘটনায় ধৃত ISF নেতা নওশাদ সিদ্দিকী-সহ ১৮ জনকে রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের মধ্যে এক নাবালকও ছিল বলে জানা গিয়েছে। শুনানি শেষে আদালত বিধায়ক-সহ সকলেরই জামিন খারিজ করে দেয়। জামিন দেওয়া হয়নি ওই নাবালককেও। তাকে আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নাবালককে হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ২৪ জানুয়ারি ওই নাবালককে জুভেনাইল আদালতে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ISF নেতা নওশাদ সিদ্দিকী সহ ১৭ জনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ফের তাঁদের আদালতে আদালতে তোলা হবে। যদিও, আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় নওশাদের সাফ কথা, 'স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে'।
প্রসঙ্গত ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। ওইদিন দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের হাতিশালায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীরা। সেই গন্ডগোলের আঁচ পড়ে শহর কলকাতাতেও। বিকালে কলকাতার ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয় আইএসএফ কর্মীদের। পুলিশকর্মীদেরও মারধরের অভিযোগ ওঠে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পাল্টা চলে ব্যাপক পুলিশি ধরপাকড়। সেই গন্ডগোলেই গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী-সহ বেশ কয়েকজনকে। যার মধ্যে রয়েছে এক নাবালকও। ধৃতদের বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েত, অস্ত্র নিয়ে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, সরকারি কর্মীদের উপর হামলা, খুনের চেষ্টা-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এরপর রবিবার ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে পুলিশি হেফাজতে পাঠান বিচারক। হোমে পাঠান হয় ধৃত নাবালককে।
আরও পড়ুন - ছোট বেলায় লম্বা, বড় হলে বেঁটে, বলো তো আমি কে?