scorecardresearch
 

RG Kar Case In SC: আরজি কর মামলা থেকে কেন সরে এলেন? খোলসা করলেন বিকাশ

সিবিআই তদন্ত যে পথে এগোচ্ছে, সে নিয়েও  প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিকাশ। তাঁর বক্তব্য,'আরজি করে জঘন্য অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তাই তদন্তকারী সংস্থাকে ফরেন্সিক সায়েন্সের সূত্র ধরে এগোতে হবে। যা সময়সাপেক্ষ'।

Advertisement
বিকাশ ভট্টাচার্য বিকাশ ভট্টাচার্য

আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য৷ কিন্তু, শুনানির আগে বদল হল আইনজীবীর। বিকাশের পরবর্তী সওয়াল করবেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় নামডাক আছে তাঁর। কিন্তু কেন এই আইনজীবী বদল? খোলসা করলেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। 

বিকাশ জানান,'নির্যাতিতার মা-বাবাকে আমি বলেছিলাম এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কিছুই করার নেই। যেমন তদন্ত চলছে তেমনটাই চলতে থাকবে। সম্ভব তাঁরা ভেবেছেন বা তাঁদের কেউ বলে থাকতে যে দিল্লির আইনজীবীকে নিয়োগ করা হোক। তাঁরা আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। তবে আমি মামলা লড়তে চাইনি'। কেন তিনি সরে গেলেন? বিকাশের কথায়,'আমি স্বাধীনভাবে কাজ করি। সেটা ওঁরা পছন্দ না করলে অন্য কাউকে খুঁজে নিতে পারেন। এ ব্যাপারে আমার আর কিছু বলার নেই। আমরা সকলেই লড়াই করছি। সেই লড়াই জারি থাকবে।' 

সিবিআই তদন্ত যে পথে এগোচ্ছে, সে নিয়েও  প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিকাশ। তাঁর বক্তব্য,'আরজি করে জঘন্য অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তাই তদন্তকারী সংস্থাকে ফরেন্সিক সায়েন্সের সূত্র ধরে এগোতে হবে। যা সময়সাপেক্ষ। এমনকি প্রাথমিক তদন্তও সম্পূর্ণ হয়নি। তদন্তে ঢিলেমির যে অভিযোগ উঠছে তা মিথ্যা। দ্রুত বিচারের দাবিতে যারা তদন্ত শেষ হোক চাইছেন, তারা পক্ষান্তরে অভিযুক্তকেই সহযোগিতা করছে'। 

আরজি কর-কাণ্ডের শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। একাধিকবার মামলা উঠেছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ফের শুনানি। হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি করে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পরে সিবিআই তদন্ত হাতে নেওয়ার পর এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। দিন কয়েক আগে শিয়ালদা কোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, প্রমাণ লোপাটের জন্য টালা থানায় তথ্য়বদল করা হয়েছে।    

Advertisement

Advertisement