এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিয়ে মুখ খুললেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বললেন, 'দেশে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। দুম করে মুখ্যমন্ত্রীকে ধরে নিয়ে যাওয়া যায় না। এটা গণতান্ত্রিক নয়। দোষ প্রমাণিত হয়নি। হলে পরের ব্যাপার। কেজরিওয়ালকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা ভারতীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে অশনি সঙ্কেত, আমরা সমর্থন করছি না।' সেইসঙ্গে বিমান বসুর দাবি, তৃণমূল এবং বিজেপি বোঝাপড়া রেখে ডবল স্ট্যান্ডার্ড রাজনীতি করছে।
শনিবার দুপুরে সিপিআইএম তাঁদের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। সেই সাংবাদিক বৈঠকেই কেজরিওয়াল ইস্যুতে মুখ খোলেন বিমান বসু। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ নাটকীয়ভাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আপের অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। ঘটনায় আগেও বামেদের তরফে নিন্দা জানানো হয়েছে। এবার বিমান বসুও জানিয়ে দিলেন যে, বিষয়টি তাঁরা সমর্থন করছেন না।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা নিয়ে আপের তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে ইডিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিহিংসার অভিযোগ আনা হয়েছে। একই অভিযোগে সরব হয়েছে শাসকদল তৃণমূলও। পাশাপাশি সিপিআইএম-এর তরফেও ও কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির নিন্দা করার পাশাপাশি ভোট ঘোষণার পর এভাবে গ্রেফতারির জেরে সুষ্ঠু নির্বাচন করা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী আগেই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার না করলে সুবিধা হচ্ছিল না বিজেপির। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হল। এর আগে কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সবটাই হচ্ছে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে।'
এই প্রসঙ্গে এরাজ্যে বিজেপি-সিপিএমের আঁতাতের অভিযোগও এনেছেন সুজন। তাঁর অভিযোগ, 'বিজেপিকে যারা সাহায্য করে তাঁদের বিরুদ্ধে অনেক বেশি অপরাধ থাকলেও বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য তাঁদের সাতখুন মাফ। যেমন পশ্চিমবঙ্গ। এখানকার মুখ্যমন্ত্রীকে রক্ষা করছে বিজেপি।'