কলকাতা পুরসভায় এসে খোদ মেয়রের ঘরে ঢুকলেন বিজেপির এক বিধায়ক। হঠাৎ কেন তিনি এলেন সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর একজন নেতার কাছে তাহলে কি ২০২৬-এর ভোটকে সামনে রেখেই এই মুলাকাত? প্রায় আধঘণ্টা ধরে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বৈঠক হয় ওই বিজেপি বিধায়কের। যদিও বৈঠক সেরে বেরিয়ে এসে যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দেন ওই বিজেপি বিধায়ক। তিনি জানান, তাঁর পুরসভা এলাকায় স্মার্ট সিটি প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই সংক্রান্ত বেশকিছু নথিও তাঁর হাতে এসেছে। তাই তিনি মেয়রের কাছে এসেছিলেন তাঁকে বিষয়টি অবগত করতে। যাতে এবিষয়ে পদক্ষেপ করা যায় তার জন্যও তিনি আবেদন করেছেন। যদিও পরে মেয়র এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ তাঁর কাছে আগেই জমা পড়েছিল। তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আমরা বিজেপি বিধায়কের কথা বলছি তিনি হলেন, আরামবাগের গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক।
২৬ এর নির্বাচনের আগে বিজেপির বিধায়কের পুরমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস দলের বর্ষীয়ান নেতার কাছে দরবার রাজনৈতিক জল্পনা উস্কে দিল। যদিও প্রায় আধ ঘন্টার সাক্ষাৎকারের পর মেয়রের চেম্বার থেকে বেরিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা উড়িয়ে দিলেন গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক। তিনি জানান, আরামবাগ পুরসভা এলাকায় স্মার্ট সিটির টাকা নয় ছয় হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুলে সোলার প্যানেল ভেঙে পড়ছে। এই আর্থিক দুর্নীতির কথাই জানাতে এসেছিলেন পুরমন্ত্রীকে। দীর্ঘদিনের বন্ধু,পরিচিত বিধায়ক। তাই পুরমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কাছে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন।
এবিষয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, 'স্কুলে সোলার প্যানেলগুলি ভেঙে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন। এনিয়ে আমার কাছে আগেও অভিযোগ এসেছিল। আমি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তবে ২০২৬-এর ভোটের আগে বিরোধী দলের একজন বিধায়ক দেখা করতে আসছেন। ভোটের আগে তৃণমূলে কি যোগদান করতে পারেন ওই বিজেপি বিধায়ক? এবিষয়ে ফিরহাদ বলেন, ওর তো ইচ্ছে হবেই। আমার কাজ হচ্ছে অভিযোগ এলে সত্যতা যাচাই।'
সংবাদদাতাঃ তপন নস্কর