রবিবার দুপুরে সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র EZCC-তে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করলেন অমিত শাহ। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তীও। সেখান থেকেই ২০২৬-এ বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিলেন অভিনেতা রাজনীতিবিদ।
শাহের সামনেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিঠুন বলেন, গত নির্বাচনে বিজেপির ফলে দুঃখ পেয়েছি। এরপরেই বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দেন মিঠুন। হিন্দিতে বলেন, যার সদস্য হবেন, দলের জন্য সবি কিছু করতে প্রস্তুত থাকবেন। মারের পাল্টা মার দিতে হবে। এরপরেই মিঠুন বলেন, পয়সা নিয়ে কাজ করবেন না। পয়সা নিয়ে বিজেপির সদস্য হবেন না। সামনে এসে লড়বে আমাদের এমন সদস্য চাই।
এরপরেই মিঠুন সুর চড়িয়ে বলেন, হিন্দু ভোটারদের ভোট দিতে না দিলে দেখে নেব। আগামী বছর ওদের ভোটারদেরও ভোট দিতে হেব না। মিঠুন বলেন, 'আমি খুনের রাজনীতি করেছি'। এটা ১৯৬৮ সালের ২৮ বছরের মিঠুনের হুঙ্কার। বাংলায় খুনের রাজনীতি চলছে। এর সরকার বদলাতে নভেম্বর থেকে ফের ময়দানে নামছেন মিঠুন। জানিয়ে দেন মাসে ২০ দিন দলের হয়ে কাজ করবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রবিবার বঙ্গে জোড়া কর্মসূচি নিয়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। প্রথমে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেট্রাপোলে আধুনিক টার্মিনাল ‘মৈত্রী দ্বার’-এর উদ্বোধন করেন অমিত শাহ। সীমান্ত বাণিজ্যে গতি আনতেই নয়া যাত্রী টার্মিনালের উদ্বোধন হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত ধরে। পরে রবিবার দুপুরে সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র EZCC-তে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করেন শাহ। তথ্য বলছে, শেষবার রাজ্যে বিজেপির প্রাথমিক সদস্য হয়েছিলেন ৪০ লক্ষের মতো। মিসড কলের মাধ্যমে। যদিও তাঁর মধ্যে ১২ থেকে ১৪ লক্ষকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। এবারও মিসড কলের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করেছে বিজেপি। তবে পদ্ধতিগত কিছু বদল করেছে। মিসড কলের মাধ্যমে সদস্য হওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে একটি লিংক যাবে। সেই লিংক খুলে ওই ব্যক্তির ঠিকানা, পেশা এই ধরনের কিছু বিষয় ফিল আপ করতে হবে। তারপরে প্রাথমিক সদস্য পদ মিলবে। সূত্রের খবর, বঙ্গে এবার ১ কোটি প্রাথমিক সদস্য করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিজেপি। অন্য রাজ্যে সদস্যতা অভিযান শুরু হলেও পশ্চিমবঙ্গে আর জি কর ঘটনার কারণে শুরু করেনি বিজেপি। আবার অন্য কয়েকটি রাজ্যে ভোটের জন্য পিছিয়ে গিয়েছিল। রবিবার সেই সদস্যতা অভিযানের সূচনা করলেন অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে ১০ কোটি সদস্য সংগ্রহ করেছে বিজেপি।