"যাঁরা পুলিশকে নিয়ে রাজনীতি করেছেন, তাঁদের পুলিশের বিরুদ্ধে গিয়ে রাজনীতি করা কঠিন। অর্জুন সিংয়েরও একাধিক ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক চাপ অত্যাচার সহ্য করতে পারছিলেন না। তাই বাধ্য হয়ে আত্মসমর্পণ করলেন।" ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh) তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করায় এমনটাই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) আরও বলেন, "আসা যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। এসেছিলেন স্বাগত, যাচ্ছেন টাটা। পরাজয় বিজেপির হয়নি। সারা ভারতে বিজেপি ১ নম্বর হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ২ নম্বর হয়েছে, ১ নম্বর হবে। বিজেপি বিজেপিতেই আছে। আমাদের মিশন আমরা পূরণ করব।"
তৃণমূলে যোগদানের পর পাটশিল্প নিয়ে অর্জুন সিং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ করেছেন, তার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, "তৃণমূলে গেলে পাটশিল্প বাঁচবে? তৃণমূল বাঁচে কিনা ঠিক নেই। আর যদি তা-ই হয় তাহলে নেত্রীকে ছেড়ে এসেছিলেন কেন?" দিলীপের আরও দাবি, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারই পাটশিল্পকে বাঁচাতে সবচেয়ে বেশি উদ্যোগ নিয়েছে। ১০০ শতাংশ ভর্তুকিও দেওয়া হচ্ছে।
এদিন বিজেপিকে বিঁধে অর্জুন সিং বলেন এয়ার কন্ডিশান ঘরে বসে ও ফেসবুকে বাংলার রাজনীতি হবে না। তার প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, "উনিও কি তাই করেছিলেন? তাহলে এতগুলো কেস তিনি খেলেন কেন? যাঁরা বাংলার অত্যাচারের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করে দেন, সহ্য করতে পারেন না, তাঁরা কী বললেন সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।" একইসঙ্গে ভবানীপুর, আসানসোল উপনির্বাচন ও কলকাতা পুরসভা ভোটে পরাজয়ের জন্যও অর্জুন সিংকে দায়ী করেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন - জল্পনার অবসান, তৃণমূলে 'ঘর ওয়াপসি' অর্জুন সিংয়ের