রাজ্য সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর দিলীপ ঘোষকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করেছিল বিজেপি। সেই পদ থেকে এবার দিলীপকে সরানো হল। শনিবার সকালে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির নামের তালিকা ঘোষণা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেই তালিকায় নাম নেই বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদের। লোকসভা ভোটের আগে দিলীপকে বাদ দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কেন দিলীপকে সরানো হল? এনিয়ে রয়েছে দ্বিমত। বিজেপির অন্দরেই একটা জল্পনা ছড়িয়েছে, লোকসভা ভোটের আগে দিলীপকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে। আর একটা অংশের মতে,বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। সেই বিতর্কের কারণেই তাঁর পদচ্যুতি। যদিও দু'টি মতের সপক্ষেই দলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। দিলীপ ঘোষ এনিয়ে কী বলছেন?
একটি অডিওবার্তায় মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ জানান,'যাঁরা লোকসভা ভোটে লড়বেন, তাঁদের সবাইকে নিজের এলাকায় কাজ করতে হবে। তাই কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।'
দিলীপের ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছে, লোকসভা ভোটে ৩৫ আসন জেতার লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। দিলীপের সভাপতিত্বেই রাজ্যে বিজেপি ১৮ সাংসদ পেয়েছিল। বাংলায় 'জন-আবেদন' আছে দিলীপ ঘোষের। সেটাই লোকসভা ভোটে কাজে লাগানো হবে।
বাংলায় রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষের কার্যকালে উত্থান হয়েছে বিজেপির। এ রাজ্যের ইতিহাসে ১৮টি লোকসভা আসন জিতে রেকর্ড গড়ে তারা। তার পর বিধায়ক সংখ্যাও হয়েছে ৭৭। তবে দলের নিয়ম মেনে টানা দুটি মেয়াদ থাকার পর রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরেন দিলীপ। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হন দিলীপ ঘোষ।