scorecardresearch
 

Rupa Ganguly Arrest: থানায় রাতভর ধর্না, গ্রেফতার BJP-র রূপা, উত্তপ্ত বাঁশদ্রোণী

রাতভর ধর্নার পরে বিজেপি নেত্রী এবং প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাঁশদ্রোনী থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement
গ্রেফতার রূপা গঙ্গোপাধ্যায় গ্রেফতার রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদকে
  • টানা ১৪ ঘণ্টা অবস্থানের পর পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেত্রীকে

রাতভর ধর্নার পরে বিজেপি নেত্রী এবং প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিজেপি কর্মীদের দাবি, গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদকে। 

মহালয়ার সকালে বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় নবম শ্রেণির এক ছাত্রের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তপ্ত এলাকা। বুধবার দিনভর বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। পাটুলি থানার ওসিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ চলে। এরই মধ্যে পাটুলি থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়। বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডল সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতিবাদে রাতেই বাঁশদ্রোণী থানায় যান বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা। থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বক্তব্য, কোনও অভিযোগ ছাড়াই বিজেপি নেত্রী রুবি-সহ অন্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।

এরপরই থানার ভিতরে ঢুকে পড়েন রূপা। বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকালেও বাঁশদ্রোণী থানায় বসে থাকেন রূপা। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। টানা ১৪ ঘণ্টা অবস্থানের পর পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেত্রীকে।

কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের দেখা মেলেনি এত কিছুর পরেই। উল্লেখ্য, বুধবার কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে একটি পে লোডারের ধাক্কায় গাছের সঙ্গে পিষে যায় নবম শ্রেণির কিশোর। দুর্ঘটনাটি ঘটে কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর এলাকায়। সেখানে রাস্তা সারাইয়ের কাজ হচ্ছিল। সৌম্য শীল নামের ওই কিশোর টিউশন পড়তে যাচ্ছিল বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে দীনেশ নগর অটোস্ট্যান্ডের কাছে। সেখানেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ক্ষোভে তেঁতে ওঠেন এলাকাবাসীরা। রাস্তার বেহাল দশা নিয়েও তাঁরা অভিযোগ জানান। ওসিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ চালান সাধারণ মানুষ। ওসিকে উদ্ধার করতে তৃণমূলের বাহিনী পাঠানো হয় বলে দাবি করেন সাধারণ মানুষ। এরপর ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ শহরতলির ডিসি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

Advertisement

Advertisement