ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবন অভিযান করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে যান। রাজ্যপালের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাতেন শুভেন্দু। তবে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজভবনের সামনের রাস্তায় পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। শুভেন্দু বলেন,'আমাদের ঢুকতে না দিয়ে মমতার ফ্যাসিবাদী চরিত্র ও নিষ্ঠুর ভাবমূর্তি সামনে চলে এল। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্ট জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করেছে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে যা করার করব'।
লোকসভা ভোটের পর বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর জায়গায় অত্যাচার করছে শাসক দলের লোকজন। এমনটাই অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। তাঁদের দাবি, ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক। ডায়মন্ড হারবার, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়ায় গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছিলেন তিনি। সেই অনুমতি মেলে। সেই মতো ৪টে নাগাদ শুভেন্দু রাজভবনের কাছে চলে আসনে। তবে তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ।
পুলিশি ব্যারিকেডে বাধা পেয়ে শুভেন্দু জানান,'রাজ্যপালের কাছে আমরা আক্রান্ত নিয়ে দেখা করার অনুমতি চেয়েছিলাম। ওঁর অফিস থেকে আমার সচিবকে বলা হয়, আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল। মমতার পুলিশ, মমতার ভৃত্য বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে চারদিকে ব্যারিকেড করে রাস্তা বন্ধ করেছে। আমার মনে হয়, ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থার সময়ও এ জিনিস হয়নি। বিরোধী দলনেতাকে ১ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছে। আমি মমতার মতো ভাঙচুরের রাজনীতি করি না। আমি এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। রাজ্যপালের আপ্তসহায়ককে মেসেজ করেছি। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, রাজভবনের বাইরের রাস্তা পুলিশের দায়িত্বে। রাজ্যপাল মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওঁর আপ্তসহায়ক'।
ভোটে বিজেপির বিপর্যয়ের পর এ দিন আবারও শুভেন্দুকে স্বমহিমায় দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন,'হাজার হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থকের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। সাংবিধানিক প্রধানের অনুমোদন সত্ত্বেও তাঁকে তথ্য দিতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ চাইব। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই চেষ্টা করব। আমাদের সঙ্গে ৩৯ শতাংশ ভোটারের সমর্থন রয়েছে। আপনি পারেন না এভাবে পুলিশকে ব্যবহার করতে। এ লড়াই তীব্র হবে। আমাদের ঢুকতে না দিয়ে মমতার ফ্যাসিবাদী চরিত্র ও নিষ্ঠুর ভাবমূর্তি সামনে চলে এল। হাইকোর্ট জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করেছে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে যা করার করব'।