'কোয়েশ্চন সেটারটা কে!' বিপ্লবীদের 'সন্ত্রাসবাদী' ইস্যুতে শুভেন্দু কোন ষড়যন্ত্র পাচ্ছেন?

বুধবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ষষ্ঠ সেমিস্টারের ইতিহাসের পরীক্ষা ছিল। সেখানে একটি প্রশ্ন নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে লেখা হয়েছে, 'মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নাম করো, যাঁরা সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত হন?'

Advertisement
'কোয়েশ্চন সেটারটা কে!' বিপ্লবীদের 'সন্ত্রাসবাদী' ইস্যুতে শুভেন্দু কোন ষড়যন্ত্র পাচ্ছেন?'কোয়েশ্চন সেটারটা কে!' বিপ্লবীদের 'সন্ত্রাসবাদী' ইস্যুতে শুভেন্দু কোন ষড়যন্ত্র পাচ্ছেন?
হাইলাইটস
  • তিনি মুখ্য়মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন
  • বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-কে শোকজ ও কোয়েশ্চন সেটারকে সাসপেন্ড করার দাবিও জানিয়েছেন

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে তিনি মুখ্য়মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-কে শোকজ ও কোয়েশ্চন সেটারকে সাসপেন্ড করার দাবিও জানিয়েছেন।

১৯৩১ সালের ৭ এপ্রিল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেমস পেডিকে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে গুলি ছুড়ে হত্যা করেন বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত, জ্যোতিজীবন ঘোষ। ১৯৩২ সালের ৩০ এপ্রিল ম্যাজিস্ট্রেট রবার্ট ডগলাসকে জেলা বোর্ডের অফিসে ঢুকে হত্যা করেন বিপ্লবী প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য, প্রভাংশুশেখর পাল। পরের বছর ১৯৩৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বার্নাড ই জে বার্জকে খুন করে বিপ্লবী অনাথবন্ধু পাঁজা, মৃগেন দত্ত, ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ রায় ও নির্মলজীবন ঘোষ। ব্রিটিশ আমলে ইংরেজ সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ‘টেররিস্ট’ বা সন্ত্রাসবাদী বলত। এখন স্বাধীনতা লাভের ৭৫ বছর পরেই এক ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রেই সেই একই ভাষা ব্যবহার করেছে।

বুধবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ষষ্ঠ সেমিস্টারের ইতিহাসের পরীক্ষা ছিল। সেখানে একটি প্রশ্ন নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে লেখা হয়েছে, 'মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নাম করো, যাঁরা সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত হন?' আর এই বিষয়টিকেই নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা ও শিক্ষাবিদরা।

বৃহস্পতিবার এনিয়ে বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'স্বাধীনতা সংগ্রামে মেদিনীপুরের ইতিহাস জানেন। তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট  খুন হয়েছিলেন। তাঁরা অত্যাচারী ছিলেন। যারা খুন করেছিলেন তাঁরা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। বেঙ্গল ভলান্টিয়ারের মেম্বার ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সন্ত্রাসবাদী আখ্য়া দিচ্ছে। কোয়েশ্চন সেটার কে ছিলেন সেটা জানা দরকার। অবিলম্বে তাঁকে সাসপেন্ড করতে হবে। ভিসি-কে শোকজ করতে হবে। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্রাত্য বসুকে। উনি এখন ভৃত্য বসু হয়ে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। রাষ্ট্রপতিতে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী তো ক্ষমা চেয়েছিলেন। তেমনই ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ তিনিই শিক্ষা দফতরের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। ব্রাত্য বসুদের দেখা যায় না। কোশ্চেয়ন সেটারের নামটা জানতে চায় বাংলা। তিনি কি টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংয়ের লোক? তিনি কি মহম্মদ জিন্নার অবৈধ সন্তান। কোয়েশ্চন সেটার কে সেটা মাস্টারদা, নেতাজি, মাতঙ্গিনী হাজরার বাংলা জানতে চায়। আমরাও জানতে চাইছি তাঁর নাম কী?'

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement