তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার আদিবাসী সমাজের উপর লাগাতার অত্যাচার করছে। অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। গত এক মাসে ৫ জনের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন। তাঁরা সকলেই পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়া জেলার বাসিন্দা বলে দাবি বিরোধী দলনেতার।
বিজেপির মতে, বাংলার আদিবাসী সম্প্রদায়কে অবহেলা করছে এই সরকার। তাঁদের উপর নির্যাতন নামিয়ে আনছে। সেজন্য বিজেপি রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হবে বলেও জানান শুভেন্দু। তিনি আরও জানান, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপও চাইবেন তাঁরা।
শুভেন্দু অধিকারী যে ৫ ঘটনার উল্লেখ করেন, তার মধ্যে রয়েছে, পুরুলিয়ায় আদিবাসী মহিলাদের উপর অত্যাচার। মেদিনীপুরের আদিবাসী রেফারিকে তৃণমূলের এক নেতা মারধর, চাকরি হারানোর কারণে সুবল সোরেনের স্ট্রোকে মারা যাওয়া ও পুরুলিয়ায় আদিবাসী ধনঞ্জয়ের উপর নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের অত্যাচার।
শুভেন্দু অভিযোগ করেন, মেদিনীপুরে অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও তিনি জামিন পেয়েছিলেন। ১৫ অগস্ট সুবল সোরেন নামে যে শিক্ষক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, সেই ঘটনাকেও আদিবাসীদের উপরে অত্যাচারের ঘটনা হিসেবে শুভেন্দু ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, এটি পরিকল্পিত খুন।
এদিকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গের পাশাপাশি ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকেও আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'জীবনকৃষ্ণ আসল লোক নন। তিনি টাকা খেয়েছেন ঠিকই। তবে অন্য লোকজনও তে পেয়েছেন ভাগ। উনি বলেছেন বিরোধীদের চক্রান্ত। সেকথা সকালে না বলে কাদা কেন মাখলেন। না পালিয়ে তো ইডিকে সহযোগিতা করলেই পারতেন। গোটা তৃণমূল চোর। ভাইপোর কাছে টাকা যায়। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রও আছেন তালিকায়। চাকরি নিয়ে এরা দুর্নীতি করে। মুখ্যমন্ত্রী ও সরকার চোর। BJP ক্ষমতায় এলে কোনও এজেন্সির সাহায্য নেব না। পুলিশ দিয়েই সব ব্যবস্থা করে দেব।'