অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস কিন্তু মারাত্মক, কী চিকিত্‍সা? জানালেন ডাক্তার

অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস মানে হল অগ্ন্যাশয়ের হঠাৎ প্রদাহ বা ফোলাভাব। অগ্ন্যাশয় পেটের পিছনে অবস্থিত একটি অঙ্গ যা হজমে সাহায্য করে। তীব্র প্যানক্রিয়াটাইটিসের প্রধান লক্ষণ হল পেটে ব্যথা, যা হালকা থেকে তীব্র হতে পারে।

Advertisement
অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস কিন্তু মারাত্মক, কী চিকিত্‍সা? জানালেন ডাক্তারঅ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস কিন্তু মারাত্মক, কী চিকিত্‍সা? জানালেন ডাক্তার
হাইলাইটস
  • অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস মানে হল অগ্ন্যাশয়ের হঠাৎ প্রদাহ বা ফোলাভাব
  • খাওয়ার অনিয়ম, মদ্যপান-সহ নানা কারণে এই সমস্যা হতে পারে

বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার এখনও উন্নতি হয়নি। হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। বুধবার ওই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, অভিজিৎবাবু অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত। আইসিইউ-তে মাল্টি অর্গান সাপোর্টে চিকিৎসাধীন তিনি। মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখতে হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অভিজিৎবাবুর প্যানক্রিয়াটাইটিসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও থাইরয়েড জনিত সমস্যাও রয়েছে। এই বহুমাত্রিক অসুস্থতাই চিকিৎসাকে কঠিন করে তুলেছে। তাঁর চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডে এখন সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮।

অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস কী?

অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস মানে হল অগ্ন্যাশয়ের হঠাৎ প্রদাহ বা ফোলাভাব। অগ্ন্যাশয় পেটের পিছনে অবস্থিত একটি অঙ্গ যা হজমে সাহায্য করে। তীব্র প্যানক্রিয়াটাইটিসের প্রধান লক্ষণ হল পেটে ব্যথা, যা হালকা থেকে তীব্র হতে পারে। খাওয়ার অনিয়ম, মদ্যপান-সহ নানা কারণে এই সমস্যা হতে পারে। বর্তমান সময়ের লাইফস্টাইল এই স্বাস্থ্য় সমস্যার জন্য অনেকাংশে দায়ী বলেই মনে করেন চিকিৎসকরা।

বিশিষ্ট চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেছেন, 'এই রোগটা সিরিয়াস। প্যানক্রিয়াসের মধ্য়ে প্রদাহ হলে এই রোগটা শুরু হয়। অনেক সময় এই রোগটা মৃত্যুর কারণও হতে পারে। এনজাইম ছড়িয়ে পড়ে। বেশি হলে সংক্রমণ ও সেটা থেকে সেপসিস হয়ে যায়। তখন সংক্রমণ সারা শরীরে ছড়িয়ে যায়। মাল্টি অর্গান ফেলিওর হতে পারে। এই রোগের স্পেসিফিক কোনও ওষধ নেই।ট

তাহলে চিকিৎসা কী?

অরিন্দমবাবু জানান, পেটকে বিশ্রাম দেওয়া প্রাথমিক কাজ। মুখ দিয়ে খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। রাইস টিউবে খাবার দেওয়া শুরু করতে হয়। স্যালাইনের মাধ্য়মেও দেওয়া হয়। মুখ দিয়ে খাবার খাওয়ানো যায় না। এর কারণ মূলত দুটো। এক-গল ব্লাডারে স্টোন থাকলে ব্লকেজ সৃষ্টি করে। যার ফলে অগ্নাশয় খাবার হজম করার জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম নিঃসরণে বাধা আসে। যার ফলে এনজাইম অন্ত্রের ছড়িয়ে পড়ে, তখন সংক্রমণ হয়। যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন, তাঁরাও আক্রান্ত হতে পারেন।' একই কথা বলেছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার অঞ্জন অধিকারী। তিনি বলেন, 'খাবার পাচন করতে না পারলেও এই সমস্যা হতে পারে। প্যানক্রিয়াস এনজাইমগুলোকে বের করতে পারছে না। এটা খুবই গুরুতর সমস্যা। খাওয়া অনিয়মিত হলেও এই সমস্যা হত পারে।'

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement