কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবিতে রাতভর ফিয়ার্স লেনে রাস্তাতেই ধর্নায় কাটিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তখনও রাস্তাতেই ধর্নায় বসে রয়েছেন ডাক্তাররা। ডাক্তারদের লালবাজার অভিযানে ফিয়ার্স লেনে ধর্নায় সোমবার রাতে গিয়েছিলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। কিন্তু হালে পানি পেলেন না দুজনেই। ওঁদের দেখেই রেগে গেলেন ডাক্তাররা। উঠল 'গো ব্যাক' স্লোগান।
অভিজিত্, রুদ্রনীলদের দেখেই গো ব্যাক
রাজনীতির কোনও নেতাকেই তাঁরা নিজেদের বিক্ষোভে চান না, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তা ঘোষণাও করে দেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা৷ দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েই ঘটনাস্থল ছাড়েন অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় ও রুদ্রনীল ঘোষ। যদিও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে নন, শহরের একজন বাসিন্দা হিসেবেই জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকতে এসেছিলেন৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁকে ভুল বুঝেছেন।
'কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে আসিনি'
তাঁর কথায়, 'আমি এবং রুদ্রনীল ঘোষ কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে আসিনি। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এই আন্দোলনে জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে থাকতে এসেছিলাম৷ ওঁরা আমাকে ভুল বুঝেছেন। ওঁরা বুঝতে পারবে আমি ওঁদের শত্রু নই। ওঁদের সমব্যথী ছিলাম। পুলিশ কমিশনারের অবশ্যই উচিত ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করা৷ ওঁরা তো দুষ্কৃতী নন৷'
৪ সেপ্টেম্বর ফের রাত দখল অভিযান
সোমবার ডাক্তারদের লালবাজার ঘেরাও অভিযানে সামিল হয়েছিলেন অনেক অভিভাবক। তাঁরা জানিয়েছেন, যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে সরকারি হাসপাতালে তারপর তাঁরা তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বিগ্ন। তাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই অভিযানে নেমেছেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি হল, আরজি কর কাণ্ডের ঘটনার দায় নিয়ে সরতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে। এদিন তাঁরা কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিনীত গোয়েল তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁরা প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন। এর পরই জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ জানিয়ে দেয়, ৪ সেপ্টেম্বর ফের রাত দখল অভিযানে নামবেন তাঁরা।