আজ ভারতীয় রাজনীতিতে বড় দিন। লোকসভা ভোটের আগে অ্যাসিড টেস্ট বলা যায়। ৪ গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে নির্বাচনের ফল গণনা চলছে। এরমধ্যে রাজস্থান ও ধম্যপ্রদেশে এগিয়ে ক্ষমতা পেতে চলেছে বিজেপি। আর এই আবহেই প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে রাজ্য রাজনীতি থেকে শুরু করে দেশের রাজনীতি সব বিষয়েই বক্তব্য রাখলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে বিজেপি সাংসদ কী বক্তব্য রাখলেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা অভিযোগে বিজেপির বিধায়কদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ
এসব ড্রামা চলবে। উনি আর কিছু করতে পারছেন না, তার নেতা-মন্ত্রী-এমএলএ-এমপিরা সব ইডি-সিবিআই এর কেসে ফেঁসে যাচ্ছে। বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। বিজেপি কে চমকানোর চেষ্টা করছে, কোন লাভ হবে না।
চার রাজ্যের ভোট গননা
পাঁচ বছর আগেও এরকমই পরিস্থিতি ছিল। সেবারে বিজেপির ভালো হয়নি কিন্তু লোকসভায় ভালো হয়েছিল। এবারে বিধানসভাতেও বিজেপির রেজাল্ট ভালো হবে আশা করি। তবে লড়াই আছে। এই তিন চারটে রাজ্যে কংগ্রেসের অস্তিত্ব রয়েছে। বিজেপিও পুরো টক্কর দিচ্ছে।
চাকরি প্রার্থীদের অবস্থানে পুলিশের ভূমিকা
চাকরিপ্রার্থীরা বছরের পর বছর লড়াই করছে তাদের অধিকারের জন্য, এটাতো একটা উদাহরণ। নিঃসন্দেহে আপনারা তাদের হকের জন্য লড়াই করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথায় কথায় হকের কথা বলেন, দিল্লি চলে যাচ্ছেন, দিল্লির বিরুদ্ধে ধরনা দিচ্ছেন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যারা অধিকার দাবি করছে তাদের কথা কেন শোনেন না? তাদের সঙ্গে কেন কথা বলেন না? হয়তো উনি সব সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না। কিন্তু তাদেরকে প্রত্যাশা দেওয়া হয়েছিল, তারা পরীক্ষায় বসেছে বারে বারে, পাস করেছে, তাদেরকে কেন বঞ্চিত করা হবে? পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থার ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে। স্কুলে ছাত্র নেই, তার কারণ ভালো শিক্ষক নেই। নিয়োগও হচ্ছে না। শিক্ষা ব্যবস্থা ডুবে যাচ্ছে। বেসরকারি স্কুল পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে উঠছে। বেশি পয়সা দিয়ে লোককে পড়াতে হচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো কিন্তু এখানে সরকারি স্কুলকে সবাই এড়িয়ে চলছে।
আব্দুল মান্নানের ফেসবুক পোস্ট
বিধানসভায় এর আগে উনি প্রতিবাদ করেছিলেন বলে উনার উপর ধাক্কা মারা হয়েছিল। ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। সেই স্মৃতি হয়তো উনি ভোলেননি। যারা স্বৈরাচারের কথা বলে তারাই স্বৈরাচারী মানসিকতা দেখাচ্ছে বিধানসভায়। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। এর আগেও হয়েছিল। তখন সিপিএম, কংগ্রেস ছিল। এখন বিজেপি আছে। বিজেপি বিরোধিতা করছে। মানুষের আওয়াজ তোলার জন্য সেখানে গিয়েছে। সেই লড়াই আমরা করছি। ধমকে চমকে পুলিশ ডাকা হচ্ছে। বিধানসভার স্পিকারের কি ক্ষমতা নেই জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হলে পদক্ষেপ করার। কেন করছেন না? পুলিশ ডাকা হচ্ছে কেনও? অন্য সময় তো সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। আমাদের বিধায়কের পটাপট। এখন সেটা করার সাহস নেই, তাই অন্যভাবে তাদেরকে বিরক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।