তারাতলায় বিজেপির পার্টি অফিসে চলল বুলডোজার। বেশ কয়েকদিন ধরেই রাস্তা থেকে হকার উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কয়েক দিন আগেই কলকাতাজুড়ে রাস্তা দখল করে হকারদের জায়গা দখল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বেআইনি দখলদারি নিয়ে তারাতলায় আজ উচ্ছেদ অভিযানে নামে পুলিশ। সেখানেই রাস্তার উপরে থাকা বিজেপির পার্টি অফিস ভেঙে দেওয়া হয়। বুলডোজার চালানো হয়।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তারা। বিজেপির অভিযোগ, কলকাতা শহরের একাধিক জায়গাতে রাস্তা দখল করে তৃণমূলের পার্টি অফিস রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ করা হয় না। কিন্তু তাঁদের পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন একাধিক কর্মী-সমর্থক। তাঁদের আটক করা হয়।
বিজেপির এক মহিলা কর্মী বলেন, তারাতলায় এই পার্টি অফিসটি গত ৪০ বছর ধরে পার্টি অফিস রয়েছে। এতদিন কিছু হয়নি। কিন্তু আজ হঠাৎ করে তা ভেঙে দেওয়া হল। অথচ কলকাতার একাধিক জায়গাতে এমন বেআইনি নির্মান রয়েছে। তৃণমূলের অফিস রয়েছে। সেগুলো নিয়ে কোবও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। একজন মহিলা পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগও করেন।
যদিও পুলিশের তরফে বারবার মাইকিং করা হয়, হাইকোর্টের অর্ডারে এটা ভাঙা হচ্ছে। কারও কোনও হাত নেই। উত্তেজনা যারা ছড়াচ্ছে তাদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সোমবারের বৈঠকে বেআইনি পার্কিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বৃহস্পতিবার বলেন, 'যত বেআইনি পার্কিং রয়েছে, তার বেশির ভাগটাই বিজেপির লোকের। আমাদের লোকেরাই টাকা নিয়ে ওদের হাতে তুলে দেয়।'
উচ্ছেদ নিয়ে মমতা জানান, আপাতত এক মাস বন্ধ উচ্ছেদ অভিযান। তবে যাদের ইতিমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ঠিকানা নিয়ে সার্ভে করবে পুলিশ। তাঁরা যদি রাজ্যের লোক হয়, সত্যি যদি গরিব হয়, তাহলে তাঁদের জন্য অন্য জায়গায় ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের সভাঘরে বৈঠক করেন। সেখান থেকে কলকাতার হকার সমস্যা, দখলদারি নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তোলেন। নির্দিষ্ট জায়গার বাইরে কেন হকাররা দোকান বাড়িয়েছে তা নিয়েও আক্রমণ করেন তিনি। পুলিশ প্রশাসন, কাউন্সিলরদের একহাত নেন।