scorecardresearch
 

'সারদায় সবচেয়ে বেশি লাভবান মমতা,' কুণালকে সেই কথা মনে করালেন মালব্য

তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারির কথা 'স্মরণ' করিয়ে দিল বিজেপি। রবিবার বাংলা বিজেপির অন্যতম ভারপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য টুইটে তাঁকে 'তৃণমূলের কলঙ্কিত মুখপাত্র' বলেছেন। কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করেছেন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি, সাংসদ সৌমিত্রও খাঁ-ও।

Advertisement
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বিজেপি নেতা অমিত মালব্য
হাইলাইটস
  • কুণাল ঘোষকে সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারির কথা 'স্মরণ' করিয়ে দিল বিজেপি
  • টুইটে বিঁধলেন বাংলায় বিজেপির অন্যতম ভারপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য
  • সৌমিত্র খাঁ: কুণাল ঘোষ সব সময় সত্যি কথা বলেন না?

তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারির কথা 'স্মরণ' করিয়ে দিল বিজেপি। রবিবার বাংলা বিজেপির অন্যতম ভারপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য টুইটে তাঁকে 'দুর্নীতিতে কলঙ্কিত তৃণমূলের মুখপাত্র' বলেছেন। কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করেছেন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি, সাংসদ সৌমিত্রও খাঁ-ও।

এদিন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করার জন্য সূক্ষ্ম চাল দিয়েছে বিজেপি। এর আগে তিনি কী বলেছিলেন, সেগুলোই ব্যবহার করেছে বিজেপি। কারও নাম না করে সেইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে, ভাইপো অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বাঁচাতে তাঁকে নামানো হয়েছে। অমিত মালব্য একটি টুইট করেছেন। সেখানে কুণাল ঘোষ সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন সেই ভিডিও রয়েছে। অন্যদিকে, সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে কুণালের করা মন্তব্য এবং সেই খবরের কাটিং সংক্রান্ত একটি টুইট করেছেন সৌমিত্র খাঁ । ওই ভিডিও এবং খবরের কাগজের কাটিংয়ের সত্যতা যাচাই করে দেখেনি আজতক বাংলা।

অমিত মালব্য টুইটে লিখেছেন, কুণাল ঘোষ, দুর্নীতিতে কলঙ্কিত তৃণমূলের মুখপাত্র, যাঁকে ভাইপোকে বাঁচানোর জন্য নামানো হয়েছে। ২০১৪ সালে কুণাল বলেছিলেন, যদি সারদা মিডিয়া থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সবথেকে বেশি কেউ সুবিধা নিয়ে থাকেন, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও লিখেছেন, পিসি এই অভিযোগ সত্যি না মিথ্যা, তা স্পষ্ট করতে পারেন।

কুণাল ঘোষকে বিঁধেছেন সৌমিত্র খাঁ-ও। তিনি বাংলা হিন্দি এবং ইংরেজি- তিনটে ভাষায় টুইটে লিখেছেন। তাঁর প্রশ্ন, কুণাল ঘোষ সব সময় সত্যি কথা বলেন না?

Advertisement

তৃণমূলের কুণাল ঘোষ এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে বেশ কিছু, তথ্য তুলে ধরেন তিনি। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার যে উন্নয়নমূলক কাজগুলি করা হচ্ছে, তা তুলে ধরার জন্য এই সাংবাদিক বৈঠক। বিজেপি এর সাথে পাল্লা দিতে না পেরে নেতিবাচক কথা বলছে এবং সবথেকে যেটা প্রতিবাদযোগ্য যে তারা ব্যক্তিগত কুৎসা ও চরিত্রহরণের পথ বেছে নিয়েছে। বাংলায় যেহেতু শান্তি, সম্প্রীতি, ঐক্য, উন্নয়ন আছে, আমরা চাই উন্নয়ন নিয়ে কথা হোক। কিন্তু রাজ্যের উন্নয়নের কাছে কেন্দ্র পাল্লা দিতে পারছে না। কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতিগুলি মানুষের সামনে আনার অবস্থাতেই নেই, তাই তাদের রাজনীতি থেকে সরে যেতে হচ্ছে।

Advertisement