তৃণমূল (TMC) নেতারা ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব (Fake IAS Debanjan Deb)-কে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে। সোমবার এই অভিযোগ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP State President Dilip Ghosh)। এদিন টিকা-কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে কলকাতা পুরসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। তাঁর দাবি, পুলিশ তাঁদের ওপর আক্রমণ করেছে।
এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব (Fake IAS Debanjan Deb)-কে নিয়ে তৃণমূল (TMC)-কে তুমুল আক্রমণ করেন। তাঁর দাবি, ওই ব্যক্তি (Fake IAS Debanjan Deb) তৃণমূলের মঞ্চে থেকেছেন, ফিটে কেটেছেন, মূর্তি উদ্বোধন করেছেন। এখন তৃণমূল (TMC)-এর কেউ চিনতে পারছেন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP State President Dilip Ghosh)-এর অভিযোগ, বিরাট আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে। মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। মানুষকে কত নেতারা সঙ্গে নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছেন। মানুষ প্রভাবতি হয়েছে। তাই তাদের দলের সাংসদও প্রভাবিতি। তাই তিনিও টিকা নিয়েছেন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP State President Dilip Ghosh) বলেন, যাঁরা ওই টিকা নিয়েছেন, তাঁদের কী অবস্থা, তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। কবে থেকে এই কাজ চলছেন, জানা নেই।
এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP State President Dilip Ghosh) জানান, এই যে কেলেঙ্কারি, তার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি। মানুষকে বঞ্চিত করে টাকা রোজগারের চেষ্টা করা হয়েছে। তার বিরোধিতা করার দরকার ছিল। ভেবেছিলাম সরকার শুধরে নেবে। এই সরকারের হেলদোল নেই। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP State President Dilip Ghosh)-র দাবি, শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করতে চেয়েছিলাম। মানুষের দুঃখ-কষ্টকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। কর্মসূচি শুরুর আগে পুলিশ বাধা দেয়। পার্টি অফিস থেকে সেই জায়গায় যাচ্ছিলাম যেখান থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল।
কর্মসূচি নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP State President Dilip Ghosh) দাবি করেন, বিশৃঙ্খলা না করে মানুষের আওয়াজকে তুলে ধরা যায়। ৬৭ জন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি আছে। ২ জন মহিলা এবং ২ জন পুরুষ এসএসকেএম হাসপাতালে।
তাঁর অভিযোগ, বিনা কারণে হিংসা করে, লাঠির বাড়ি মেরেছে। এত ভয় কেন? সত্যের মুখোমুখি হতে এত ভয় কেন? মানুষ সঙ্কটে। প্রধানমন্ত্রী বিনা পয়সায় রেশন, টিকা পাঠাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী ভোটের আঘে বলেছিলেন, বিনা পয়সায় টিকা দেবেন। এখন এখানে টিকা নেই। ফ্রিতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
তাঁর আরও অভিযোগ, ভ্যাকসিনকে ডোনেশনের নামে পয়সা দিয়ে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। না হলে ভ্য়াকসিন পাওয়া যাবে না। শান্তুপূর্ণ ভাবে যাচ্ছিলাম। হিংসার আশ্রয় করে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এই রকম যদি চলতে থাকে, শুধু কলকাতা নয়, জেলায় জেলায় ব্লকে হবে। কোনও হিংসা বা অশান্তি করার ইচ্ছা আমাদের ছিল না। যা হয়েছে পুলিশের জন্য হয়েছে।