তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আগে থেকেই ঠিক করা ছিল, নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মাইক বন্ধ করার অভিযোগে বিধানসভায় সরব হবে তারা। নিন্দা প্রস্তাব আনবে। আর তা আনতেই উত্তাল হয়ে উঠল বিধানসভা। তৃণমূলের নিন্দা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা ওয়াক আউট করেন। অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়করা একে অপরের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।
নীতি আয়োগের ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনেন তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। যার প্রতিবাদ জানান গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। তাঁদের তরফে অভিযোগ করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে যা করেছেন তা আগে থেকে পরিকল্পনা করা ছিল। তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজ করেছেন।
বিজেপি বিধায়কদের আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নীতি আয়োগের বৈঠকে ৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল। তিনি সব জানতেন। তারপরও বেরিয়ে এসেছেন।
এদিকে বিজেপি বিধায়করা এই কথা বলার সময় বিধানসভা তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই দলের বিধায়করা একে অপরের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সম্পর্কে যে কথা বলা হচ্ছে তা কাম্য নয়। তখনই স্পিকারের বক্তব্যের মাঝে বিধানসভা ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
প্রসঙ্গত, শনিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বৈঠক ওয়াক আউট করেন। অভিযোগ করেন, পাঁচ মিনিটের মধ্যে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি ইন্ডিয়া ব্লকের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে সম্মান করা হয়নি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অসম্মান করা হয়েছে।
যদিও নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে কথা পরে পাল্টা অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ায় কংগ্রেস। প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ নাকচ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তারা নিজের অবস্থানে অনড় থাকে।