Bomb BJP Investigating Committee: সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে রবিবার সন্ধ্যায় বিজেপি কার্যালয়ের কাছে বোমাতঙ্ক ছড়াল। বোমার মতো গোলাকার একটি বস্তুকে ঘিরে এই আতঙ্ক ছড়ায়। রবিবারই কলকাতায় পৌঁছয় বিজেপির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। দু' দিন সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কথা রয়েছে তাঁদের। তার মাঝেই দলীয় কার্যালয়ের অদূরে মাহেশ্বরী ভবনের সামনে বোমাতঙ্ক ছড়ানোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিজেপি। কারণ সেখানেই রয়েছেন ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা। রাতে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেহজনক বস্তুটি বোমা নয়। সেটি সুতো জড়ানো একটি বল। তবে কোথা থেকে সেটি এল তা জানা যায়নি প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষ। বিষয়টি বোমা কিনা, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন তিনি, অপেক্ষা করছেন বম্ব স্কোয়াডের। তাঁর মতে, অন্তত ৪০-৪৫ মিনিট আগে এই বোমা জাতীয় বস্তুর হদিশ মিলেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও, তাঁর সঙ্গে কথা বলা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে বম্ব স্কোয়াড পৌঁছয়নি বলেই অভিযোগ। কলকাতা পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার পরেও কেন পুলিশ আতঙ্ক ছড়ানোর পরেও এলাকা ঘিরে ফেলেনি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে সরব বিজেপি। এর মধ্যেই রবিবার রাতে কলকাতায় পৌঁছল বিজেপির চার সাংসদের বিশেষ কমিটি। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। সেখান থেকে তাঁরা সোজা চলে যান মাহেশ্বরী ভবনে যেখানে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ আনা আশ্রিতদের রাখা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই এই কমিটি তৈরি করেছেন কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। কমিটিতে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভা সাংসদ কবিতা পাতিদার। বিজেপি সূত্রে খবর, রবিবার রাতটুকু কলকাতায় কাটিয়ে তাঁরা সোমবার সকালেই রওনা হবেন কোচবিহারের উদ্দেশে।
তবে বিজেপির প্রতিনিধি দলের রাজ্যে আসার পর প্রথমে দক্ষিণের জেলাাগুলির পরিস্থিতিই ঘুরে দেখার কথা ছিল। রবিবার কলকাতায় আসার পরে সোমবার তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল ডায়মন্ড হারবারে। কিন্তু সোমবার ইদের উৎসব হওয়ায় তাঁরা সেখানে না গিয়ে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিজেপি সূত্রে খবর, সকালের বিমানে কোচবিহারে গেলেও রাতেই আবার কলকাতায় ফিরবেন চার সাংসদ। পরের দিন তাঁরা ডায়মন্ড হারবার, জয়নগর এবং বসিরহাট লোকসভা এলাকায় ‘আক্রান্ত’ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন।