ঘটা করে উদ্বোধন হয়েছে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত মেট্রো স্টেশন হাওড়া। দেশের গভীরতম মেট্রো স্টেশন এটি। যা নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে ছিল। এখন যাত্রীরা চাইছেন, এই রুটের মেট্রোয় ভ্রমণ করতে। কিন্তু এখনও যাত্রীদের জন্য খুলছে না এই মেট্রো রুট। গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রোয় যাত্রী পরিষেবা কবে শুরু হবে, তার দিনক্ষণই এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে যাত্রী পরিষেবা শুরু হতে বেশিদিন সময় লাগবে না, বলেই মেট্রো সূত্রে খবর।
অন্যদিকে, পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোর চূড়ান্ত প্রসারিত — এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহের মধ্যে — যা হাওড়া ময়দান এবং সেক্টর ফাইভ-এর মধ্যে একটি নির্বিঘ্ন যাতায়াত শুরু হতে পারে অক্টোবর মাস থেকে। মেট্রো সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। বউবাজারের কাজে জটিলতা মিটলেই ওই পরিষেবা শুরু হবে। এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহের মধ্যে ২.৫ কিমি প্রসারিত ভূগর্ভস্থ টানেলের নির্মাণ, দুটি টানেলের মধ্যে একটি ক্রস-প্যাসেজ এবং একটি যাত্রী উচ্ছেদ শ্যাফ্ট প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যা বউবাজার এলাকায় ২০২৯ এবং ২০২২ সালে তলিয়ে যাওয়ার তিনটি ঘটনা দেখেছিল। সূত্রের খবর, ইলেকট্রিকাল এবং সিগন্যালিং সিস্টেমের ইনস্টলেশনের কাজ মে মাসের শেষের দিকে শেষ হবে বউবাজারে।
এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদার প্রসারিত অংশ এই বছরের অক্টোবরের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালানোর জন্য প্রস্তুত হবে। বৈদ্যুতিক এবং সিগন্যালিং সিস্টেমের কাজ শেষ করতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে বলে মেট্রো-সূত্রে খবর। শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড রুটের কাজে তিনটি বড় দুর্ঘটনায় কাজ পিছিয়ে যায়। বউবাজার এলাকায় ধস নামায় পুরো প্রকল্পটি কয়েক বছর বিলম্বিত হয়।
একটি টানেল-বোরিং মেশিনের কারণে বিভ্রাট হয়েছিল। ক'য়েকশো মানুষ বাড়ি ছাড়া হতে বাধ্য হয়। ২০২২ সালে সেই শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য একটি কংক্রিট কাঠামো নির্মাণের সময় ফের বিপত্তি হয়। আবার মাটির নীচের জলাধার ফুটো হয়ে যায়। শ্যাফ্টটির দৈর্ঘ্য ছিল ৩৮ মিটার এবং দুর্ঘটনার সময় ২৯ মিটার নির্মাণ শেষ হয়েছিল।
মেট্রোর এক অফিসার জানিয়েছেন, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ২৬টি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির পুনর্নির্মাণ শুরু হবে। আরও দশটি ক্ষতিগ্রস্ত ভবন মেরামত করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণে কাজ হচ্ছে ধীরগতিতে এবং সতর্কতার সঙ্গে। তাই এটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছে। হাওড়াগামী টানেলে সিভিল কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে। শিয়ালদার দিকে পূর্ব দিকের টানেল সম্পূর্ণ হয়েছে। হাওড়া-গামী টানেলে কাজ চলছে।