একের পর এক নয়া মেট্রো রুটের উদ্বোধন হচ্ছে শহরে। সেগুলো চালাতে গিয়ে কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা মেট্রো কর্তৃপক্ষের। সবথেকে পুরোনো ব্লু লাইনের নিত্যযাত্রীদের অবস্থা সবথেকে খারাপ। পাশাপাশি, ২০১৯ সালে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ভূগর্ভস্থ টানেল নির্মাণের সময় ধসের ফলে বউবাজারের বেশ কিছু বাড়ি ধসে পড়েছিল। বহু পরিবারকে বাড়ি ছেড়ে দিতে হয়েছে। সেইসব ঘরছাড়াদের কী হবে, একথা জানতে চাইবে কলকাতা পুরসভা। আজ, সোমবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল)-এর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মেট্রো রেলের এক অফিসার জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের অগাস্টে দুর্গা পিথুরি লেন এবং স্যাকড়াপাড়া লেনের প্রায় ২৫টি বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়া আরও কিছু বাড়ির বাসিন্দাদের বিপজ্জনক ফাটল ধরা বাড়িগুলি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, ওই বাড়িগুলি মেরামত করা সম্ভব।
জানা গেছে, এদিনের বৈঠকে মেয়র সংস্কার হওয়া বাড়িগুলির হস্তান্তরের সময়সীমা এবং কাজের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইবেন। তিনি জানিয়েছেন, বউবাজারের বহু পরিবার বছরের পর বছর ধরে ভাড়া অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করছে। নতুন বাড়ি তৈরি করতে কত সময় লাগবে, এবং কবে এই বাড়ি মালিকদের দেওয়া হবে, এই প্রশ্নগুলির উত্তর পুরসভার জানা দরকার।
মেট্রো রেলের তরফে জানানো হয়েছে, সংস্কার করার পর বাড়িগুলি ২০২৭ সালের মধ্যে ঘরছাড়াদের তুলে দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২৩টি বাড়ি ভেঙে ফেলতে হয়েছিল, পরে আরও দুটি বাড়ি ভেঙে ফেলতে হয়।
পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো এখন সেক্টর ফাইফ এবং হাওড়া ময়দানের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে চলাচল করছে। তবে গৃহহীন পরিবারগুলি এখনও নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসার অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। শিয়ালদা এবং এসপ্ল্যানেডের মধ্যে বউবাজারের অংশে ২০১৯ সাল থেকে ধস এবং জল চুইয়ে পড়ার চারটি ঘটনা ঘটেছে।
দুর্গা পিথুরি লেনের বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, তাঁরা এখনও জানেন না, কখন তাঁদের নিজস্ব বাড়িতে ফিরতে পারবেন। অনেকের পৈতিক তিনতলা-চারতলা ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাঁরা দীর্ঘদিন ভাড়া ফ্ল্যাটে রয়েছেন। খুবই কষ্টে দিন কাটছে তাঁদের।