Omicron আতঙ্কের মধ্যেই রাজ্যে নতুন রোগ হানা দিয়েছে। যার নাম ব্রুসেলোসিস (Brucellosis virus)। যা নিয়ে সতর্ক রাজ্য সরকার। বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের জরুরি ভিত্তিতে সংক্রমিতদের চিহ্নিত করে তাঁদের দ্রুত চিকিৎসা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। সম্প্রতি এই নিয়ে নবান্নের তরফে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : CPM-কে জিতিয়েছে TMC, বাংলাকে ইসলামিক স্টেট করার চক্রান্ত : সুকান্ত
জেলা প্রশাসনগুলিকে নবান্নের নির্দেশ, এই ব্রুসেলোসিস থেকে বাঁচার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পরীক্ষাগার-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি রাখতে হবে। জানা গিয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, রামপুরহাট, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা এবং বসিরহাটের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্রুসেলোসিসের চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি করার স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের আওতায় রাজ্যজুড়ে গবাদি পশুদের ব্রুসেলা প্রতিরোধক টিকাকরণ কর্মসূচি ছিল। এরপর বহু প্রাণিবন্ধু-প্রাণিকর্মী-প্রাণিমিত্র এই ভাইরাসে সংক্রমিত হন। তাদের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন : অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খুলবে? জানুন রাজ্য সরকারের প্ল্যান
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত গবাদিপশুর দেহ থেকে ব্রুসেলা নামক এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়। গবাদি পশুর দুধ না ফুটিয়ে খেলে, কিংবা তাদের মাংসে হাত দিলে বা পশুদের যত্ন নেওয়ার সময় মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, দুর্বলতা, পেশিতে ব্যথা, শিরদাঁড়ায় ব্যাথা, মাথা যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। রোগ ঠিক সময় নির্ণয় না হলে পরে ক্রমশ তা সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়েও। তার জেরে মৃত্যুও হতে পারে।