বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে যাতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত না হন সেজন্য বৈঠক করল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (Border Security Force)। গ্রামে গ্রামে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানাচ্ছে বিএসএফ। বুধবার রাতে গেদেতে ৩২ ব্যাটেলিয়ন বিএসএফ-এর কমান্ড্যান্ট, বর্ডার ফাঁড়ির পুলিশ সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে টহল দেয়। গ্রামীণ সমন্বয় সভা পরিচালনা করেন। BSF আয়োজিত এই সভায় পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য এবং গ্রামবাসীরা অংশ নেন।
এই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল বিএসএফ এবং স্থানীয় মানুষদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা। ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধে গ্রামবাসীদের সহযোগিতাও চান তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা কীভাবে সতর্ক থাকতে পারেন এবং সীমান্ত নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন সেই সম্পর্কেও গ্রামের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিএসএফ-র তরফে গ্রামবাসীদের জানানো হয়, রাতের বেলা সীমান্ত এলাকায় মাছ ধরা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এখন মাছ ধরলে তা জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পরিস্থিতি তপ্ত হওয়ার পর থেকেই সীমান্ত অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এই আশঙ্কায় নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। কিন্তু বাংলাদেশে অত্যাচারিত সংখ্যালঘুরা ভারতে আসতে চায় এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে। বুধবারই পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছন সেই দেশের প্রায় এক হাজার সংখ্যালঘু।
সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসতে চান তাঁরা। তবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা আটকে দেয় বিএসএফ। সাতকুড়া সীমান্তে তাঁদের বাধা দেন কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা। যাঁরা ভারতে আসার জন্য সীমান্তের কাছে পৌঁছেছিলেন তাঁদের বেশিরভাগই হিন্দু। খবর পেয়ে বিএসএফ সেখানে পৌঁছয়। অনুপ্রবেশ রুখে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাংলাদেশের ওই নাগরিকরা ভারতে ঠাঁই নিতে চান। সীমান্তে এসে পোঁছনো হিন্দুদের অভিযোগ, তাঁদের বাড়িঘর ও মন্দির জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জানান, তাঁদের জীবন বিপন্ন। সেকারণে তাঁরা ভারতে আশ্রয় চান।