আগের থেকে একটু ভালো আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। একটু-আধটু কথাও বলছেন। হাসপাতালে আনার পর আজ, শুক্রবার প্রথম তাঁকে নরম খাবার দেওয়া হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। জানা গেছে, তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কিছুটা বেড়েছে। অন্যান্য জটিলতাও কিছুটা কমেছে। সিআরপি কমেছে। এখনও বাইপ্যাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। বুদ্ধদেবকে কাস্টার্ড জাতীয় কিছু খাওয়ানো হতে পারে। অর্থাৎ দই বা ওই জাতীয় কোনও খাবার। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে তিনি যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তখন তাঁকে প্রথম ভ্যানিলা আইসক্রিম খাওয়ানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বুকের ইউএসজি হয়েছিল অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। সন্ধেয় সেই পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, বুদ্ধদেবের শারীরিক অবস্থা নিয়ে এখনই অস্বস্তির কিছু পাননি তাঁরা। আপাতত পরিস্থিতির কোনও অবনতি হয়নি। নতুন কোনও চিকিৎসা শুরু করারও প্রয়োজন হচ্ছে না। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
গত শনিবার শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা নিয়ে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেছিলেন, তাঁর শ্বাসনালিতে সংক্রমণ রয়েছে। দু’টি ফুসফুসেও সংক্রমণের মাত্রা অত্যন্ত বেশি। টাইপ টু রেসপিরেটরি ফেলিওর হয়েছিল বাম নেতার। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ইন্টারমিটেন্ট নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ট সূত্রে খবর, তিনি চিকিৎসকদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ডের অন্যতম সদস্য এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, বুধবার সকালে বুদ্ধদেব আম খাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর মতে, এখন সেই পরিস্থিতি প্রায় নেই। বুদ্ধদেবকে ‘স্পিচ অ্যান্ড সোয়ালো রিহ্যাবিলিটেশন থেরাপিস্ট’ দেখে গিয়েছেন যে, কিছু খেলে তাঁর বিষম লাগতে পারে কি না। তবে এখনও রাইলস টিউবের মাধ্যমেই বুদ্ধদেবের শরীরে খাবার প্রবেশ করানো হচ্ছে। ফলে মুখ দিয়ে কিছু খেতে হচ্ছে না। চিকিৎসকদের পরিকল্পনা হল, আস্তে আস্তে যাতে তিনি মুখ দিয়ে খেতে পারেন, তা নিশ্চিত করা। তবে এদিন তাঁর রাইলস টিউব খুলে দেওয়ার কথা ভাবছেন চিকিৎসকেরা। খাওয়ানো হতে পারে কাস্টার্ড জাতীয় নরম খাবার।