আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের কার্যকলাপ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করে সোচ্চার হয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরাও। আর এই আবহেই এবার কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ময়দানে নামতে চলেছে বেসরকারি বাস-মিনিবাস সংগঠনের মালিকদের।
বুধবার অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির রাজ্য কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানেই মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পুলিশের অত্যাচার মেনে নেওয়া হবে না। এর প্রতিবাদে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর প্রত্যেকটি জেলার জেলা শাসকের অফিসে পুলিশের বিরুদ্ধে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। ডেপুটেশন দেওয়া হবে আঞ্চলিক পরিবহন দফতর গুলিতেও। তারপরই রাস্তায় নামবেন বাস মালিকরা। প্রয়োজনে শহরের বুকে বাস বন্ধ রেখে রাস্তায় নামা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বাস-মিনিবাস সংগঠনের মালিকদের অভিযোগ, জরিমানার নামে নানা ভাবে হেনস্থা করছে পুলিশ। আর এই অত্যাচারের কারণেই শহরের বুক থেকে একের পর এক বাস কমে যাচ্ছে। চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পাঁচটি ইস্যুকে সামনে রেখে মিটিং হয়েছে। পুলিশ নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় পুলিশ ফাইন আদায়ে নেমেছে। এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।'
পরিবহন দফতর সূত্রে খবর, এক বা দু’বছর আগে কলকাতায় বাসের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮৪০টি। বর্তমানে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬১৫টি। মিনি বাসের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৪টি। এখন চলছে ১ হাজার ৪৯৮টি। বেসরকারি বাস-মিনিবাস সংগঠনের অভিযোগ, শহরে এখন বাসের অবস্থা সব থেকে করুণ। যার পিছনে অন্যতম কারণ কেস বা জরিমানার নামে পুলিশের অত্যাচার। ক্রমশ বাসেরে সংখ্যা কমছে বলেই দাবি করেছেন বাস মালিকরা। পাশাপাশি বুধবারের সভায়,বাসগুলির পনেরো বছরের বদলে মেয়াদ বাড়িয়ে যাতে কুড়ি বছর করা হয় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়। পনেরো বছরের পুরনো হয়ে যাওয়ায় আগামী মাস থেকেই কলকাতার রাস্তায় নামবে না হাজার দুয়েক বাস। ফলে পরিবহণ ক্ষেত্রে বড়সড় সঙ্কটের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। সেই কারণেই এই মেয়াদ যাতে বৃদ্ধি করা হয় তা নিয়ে পরিবহন দফতর এবং আদালতের দ্বারস্থ হবেন বাস মালিকদের সংগঠনগুলি।