ব্যবসায়ীকে খুনের পর দেহ লোপাট করতে তা জলের ট্যাঙ্কে ফেলা হল। এতেই শেষ নয়, প্রমাণ লোপাট করতে জলের ট্যাঙ্কে দেহ ঢোকানোর পর মধ্যরাতে ইট দিয়ে গেঁথে ফেলার চেষ্টা চালানো হল। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করল দেহ। এমনই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে নিমতায়। নিহত ব্যবসায়ী কলকাতার ভবানীপুরের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ভব্য লাখানি ভবানীপুরের ব্যবসায়ী। পরিবার সূত্রে খবর, পরশু থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। তাঁর কোনও খোঁজ না পাওয়া যাওয়ায় উদ্বেগে ছিল পরিবার। ব্যবসায়ীর ফোনে যোগাযোগ করেও সাড়া মেলেনি বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার।
মঙ্গলবার গভীর রাতে নিমতা এলাকায় একটি বাড়ির ছাদে জলের ট্যাঙ্কের উপর উঠে কয়েক জনকে ইট গাঁথতে দেখেন স্থানীয়দের একাংশ। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ব্যবসায়ীর অংশীদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে আরও ১ জনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ব্যবসায়ীর দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মারধর করে খুন করা হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। জানা গিয়েছে, শোভাবাজার এলাকা থেকে কাগজে মোড়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে নিহত ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন। পুলিশ সূত্রে খবর, অংশীদারের কাছ থেকে ২১ লক্ষ টাকা পেতেন ওই ব্যবসায়ী। তাই নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের হোমিসাইড এবং গুন্ডাদমন শাখা।
অন্য দিকে, কলকাতায় আবার গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলেন এক তরুণী।ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫ বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।পুলিশ সূত্রে খবর,গত রবিবার একটি ট্র্যাভেলার গাড়িতে করে বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন তরুণী। আনন্দপুর অটোস্ট্যান্ড লাগোয়া রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।