দিন কয়েক আগে 'বড় যোগদান'-এর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেনিয়ে তখনই চর্চা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। রবিবার সেই চর্চা আরও তুঙ্গে তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁর গন্তব্য গেরুয়া শিবির। বিজেপির টিকিটে লড়বেন লোকসভার নির্বাচন। আপাতত পুরোটাই জল্পনা। কারণ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বা বিচারপতির তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
কালিয়াগঞ্জেক বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। গত বুধবার সেই সৌমেন ফিরে আসেন বিজেপিতে। সেদিনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেন,'আগামী ৭ মার্চ বড় যোগদান'। তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। রবিবার পদত্যাগ করে রাজনৈতিক জীবন শুরু করার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে কোন রাজনৈতিক দল তা ভাঙতে চাননি। ঘটনাক্রম ইঙ্গিত দিচ্ছে, ওই 'বড় যোগদান' আসলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই।
রাজনীতিতে কি যোগ দেবেন? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তৃণমূলে যাবেন না। অন্য দলে যোগদানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। তাঁর কথায়,'বাম দল, বিজেপি আছে, ছোট ছোট রাজনৈতিক দল আছে, তারা যদি মনে করে টিকিট দেবে, তাহলে ভেবে দেখব'। সূত্রের খবর, পদত্যাগের পর সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করবেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটে তাঁকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। তিনি রাজি থাকলে শুভেন্দু অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক আসনে তাঁকে টিকিট দেবে বিজেপি।
শোনা যাচ্ছে, সিপিএমের সঙ্গেও কথা হয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সবটাই সূত্রের খবর। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির কাছে ইস্তফা দেওয়ার পর দুপুর দেড়টায় হাইকোর্ট সংলগ্ন সূর্য সেনের মূর্তির পাদদেশে সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন।