আগামী ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমে ভোট। করোনা আবহে ভোট হবে কিনা সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার একথা জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের একটি পুরনো মামলার রায় উল্লেখ করে নির্দেশনামায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বলেছে, দিনবদলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। কী সিদ্ধান্ত তারা নিল তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা জানাতে হবে।
আগামী ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগরে পুরভোট। কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট করানো যায় কিনা তা নির্বাচন কমিশনই বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে আদালত। মামলাটি নিষ্পত্তি করে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কমিশনকে।
করোনা পরিস্থিতিতে ৪টি পুরনিগমে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। গতকাল, বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ মেনে রাজ্য নিজেদের বক্তব্য হলফনমা আকারে জমা দিয়েছে সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট নিয়ে দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছে দু'পক্ষই। রাজ্যের আইনজীবী সম্রাট সেন বলেন,''কমিশন দিনক্ষণ ঠিক করবে। রাজ্য সুপারিশ করতে পারে।'' ডিভিশন বেঞ্চ তখন জানায়,আপনারা বলছেন রাজ্য সুপারিশ করবে। কিন্তু কমিশন বলছে রাজ্য দিনক্ষণ ঠিক করে। আশ্চর্য এই আইন চালুর ২৯ বছর পর আদালতে রাজ্য এবং কমিশন আলাদা কথা বলছে।
আরও পড়ুন- শিকেয় করোনা বিধি, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে প্রচার TMC প্রার্থীর!
সম্রাট যুক্তি দেন, নির্বাচন ঘোষণার পর আর রাজ্যের হাতে নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী পাল্টা বলেন,''ভোটের দিনক্ষণ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত এককভাবে কমিশন নিতে পারে না। রাজ্যের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তারাই বিষয়টি দেখছে।''
আরও পড়ুন- শিকেয় করোনা বিধি, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে প্রচার TMC প্রার্থীর!