scorecardresearch
 

Police Constable Recruitment: এবার চাকরি যাচ্ছে ৮ হাজারের বেশি কনস্টেবলের? নিয়োগ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বেশ কয়েকমাস ধরে তোলপাড় গোটা রাজ্য! একের পর এক দুর্নীতির মামলা প্রকাশ্যে আসছে। এরমাঝেই অন্যতম ছিল কনস্টেবলের নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। রাজ্য পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement
হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল নিয়োগের নতুন প্যানেল হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল নিয়োগের নতুন প্যানেল

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বেশ কয়েকমাস ধরে  তোলপাড় গোটা রাজ্য! একের পর এক দুর্নীতির মামলা প্রকাশ্যে আসছে। এরমাঝেই অন্যতম ছিল কনস্টেবলের নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। রাজ্য পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।

প্রায় ৮৪১৯ জন কনস্টেবলের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল।  এই মামলায় বুধবার নতুন করে নির্দেশ দিয়েছেন  হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, চাকরি চলে যেতে পারে কয়েকশো কনস্টেবলের। পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ৮৪১৯ পদে নিয়োগের নতুন প্যানেলও।

২০১৯ সালে রাজ্যে পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগে  গোটা প্যানেলই বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত রাজ্য সরকারের তরফে ২০১৯ সালে রাজ্য পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ  একটি প্যানেল প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ ছিল নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা হয়েছে। পুলিশের চাকরির ইন্টারভিউয়ের আগেই কিছু পরীক্ষার্থীর হোয়াট্‌সঅ্যাপে পৌঁছেছিল গোপন খবর। কারা ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকবেন, কারা প্রশ্ন করবেন, সেই তথ্য জানতে পেরেছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। পরে মেধাতালিকা প্রকাশের পরও দেখা যায় বেশ কিছু অনিয়ম রয়েছে। ফলে ২০২২ সালে স্টেট ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন তাঁরা। চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল ৮,৪১৯ জন পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগকে।

আরও পড়ুন

মামলাকারীদের দাবি ছিল, পুলিশে নিয়োগের চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে, তাই গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াটাই খারিজ করতে হবে। পাশাপাশি, সংরক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আলাদা তালিকাও প্রকাশ করতে হবে। স্টেট ট্রাইব্যুনাল আদালতে এই অভিযোগ জানিয়ে মামলা দায়ের করেন তাঁরা। এরপরই রাজ্যের তালিকা খারিজ করে ট্রাইব্যুনালের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, যারা সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থী নয় তাদের জন্য আলাদা তালিকা বানাতে হবে চার সপ্তাহের মধ্যে। সংরক্ষিত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের অভিযোগ, কিছু পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পেলেও ইন্টারভিউতে প্রচুর নম্বর পেয়েছে। ট্রাইবুনাল পুলিশ কনস্টেবলদের নিয়োগ সংক্রান্ত ত্রুটি শুধরানোর নির্দেশ দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডকে। এর পরেই প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় মেধা তালিকা। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষণের নিয়ম মেনে সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়। নতুন করে চাকরিও পান অনেকে। কিন্তু বুধবার কলকাতা হাই কোর্ট এই দ্বিতীয় তালিকাটি খারিজ করে প্রথম তালিকাটিকেই মান্যতা দিয়েছে। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে স্যাট বা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা-ও খারিজ করেছে।

Advertisement

এদিন প্রধান বিচারপতির টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্রাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড যে প্যানেল প্রকাশ করেছিল তা অপরিবর্তিত থাকবে।পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ খারিজ করা হয়। একইসঙ্গে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের ফলে যেহেতু  নিয়োগ স্থগিত হয়েছিল তাই সিনিয়রিটির ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হবে। এছাড়া, প্রধান বিচারপতির ডিভইশন বেঞ্চের নির্দেশ, যে ১৭০ জনকে ইতিমধ্যে  নিয়োগ করেছিল রাজ্য তাদের চাকরি বাতিল না করে অন্যত্র চাকরিতে নিযুক্ত করতে হবে।

Advertisement