SSC Case: বন্ধ বেতন-পরীক্ষা দেওয়ারও সুযোগ নেই, হাইকোর্টও খালি হাতে ফেরাল 'অযোগ্য' শিক্ষকদের

চাকরিহারাদের একাংশ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বুধবার। এই অংশটি 'অযোগ্য' হিসেবেই চিহ্নিত। এদের বিরুদ্ধে OMR বিকৃতি এবং ব়্যাঙ্ক জাম্পের অভিযোগ রয়েছে। মিলছে না বেতনও। তবে হাইকোর্ট থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয় তাঁদের।

Advertisement
বন্ধ বেতন-পরীক্ষা দেওয়ারও সুযোগ নেই, হাইকোর্টও খালি হাতে ফেরাল 'অযোগ্য' শিক্ষকদের
হাইলাইটস
  • কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন 'অযোগ্য' শিক্ষকরা
  • বেতন মিলছে না, স্কুল যাওয়াও বন্ধ তাঁদের
  • তবে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি

নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে ৩০ মে। SSC মামলা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে মঙ্গলবার এমনটাই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে চাকরিহারাদের বলেন, 'আপনারা পরীক্ষায় বসুন'। এই পরিস্থিতি বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিহারা 'অযোগ্য' শিক্ষকরা। বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। কিন্তু মামলা গ্রহণই করলেন না বিচারপতি। 

বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, 'এই বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। বিষয়টি এখন শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টে গ্রীষ্মবকাশকালীন বেঞ্চ হস্তক্ষেপ করবে না।'

আবেদনকারী 'অযোগ্য' শিক্ষকদের দাবি ছিল, যেহেতু  সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা স্কুলে ঢুকতে পারছেন না। নতুন যে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেখানেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তাই এই পরিস্থিতিতে আদালত হস্তক্ষেপ করুক।

মূলত OMR শিট বিকৃতি এবং ব়্যাঙ্ক জাম্পের অভিযোগ রয়েছে এই অংশের চাকরিহারা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। তাঁরা এর আগে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁদের। এবার কলকাতা হাইকোর্টও তাঁদের খালি হাতে ফেরাল। 

এদিন সকালে কালীঘাটের সামনে বিক্ষোভও প্রদর্শন করেন এই ‘নট স্পেসিফিক্যালি টেন্টেড’ শিক্ষক শিক্ষিকারা। এই তালিকায় রয়েছেন ১৮০৩ জন।  যাঁরা স্কুলে যেতে পারছেন না। বেতনও পাচ্ছেন না। 

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। তাঁরা সকলেই ২০১৬ সালে SSC নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারানোর পর 'যোগ্য' শিক্ষক-শিক্ষিকারা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন। তাঁরা পরীক্ষা ছাড়াই চাকরিতে পুনর্বহাল হতে চান। একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা। দিয়েছিলেন ডেডলাইনও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ৩০ মে-র মধ্যে নতুন করে পরীক্ষায় বসার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে শিক্ষা দফতর। যদিও এতে আপত্তি রয়েছে চাকরিহারাদের একাংশের। তবে মমতা বলেন, 'আমরা এটা করতে বাধ্য হচ্ছি। যেহেতু গরমের ছুটির জন্য এখনও রিভিউ পিটিশন করা যায়নি। এথচ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে ৩১ মে-র মধ্যে নোটিফিকেশন করতে হবে'।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement