খাস কলকাতায় ৫ তলা বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। কলকাতা পুরসভার ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি ভাবে জমি দখল করে সেখানে ৫ তলা বেআইনি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় পৌরপিতা থেকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও কলকাতা পৌরসভাকে জানিয়েও কোন সুরাহা না মেলায় জমির মালিক মহম্মদ আতাউল্লা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মেটিয়েবুরুজ থানার অন্তর্গত এন ১৪৭/সি বল্লামতলা লেন কলকাতা ২৪ -এই জমির আসল মালিক মহম্মদ আতাউল্লার অভিযোগ তাঁর নামেই জমির মিউটেশন। অথচ স্থানীয় কিছু অসাধু প্রোমোটার জমি দখল করে বেআইনি ৫ তলা নির্মাণ করে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ। বিচারপতি কৌশিক চন্দ কলকাতা পৌরসভার কাছে রিপোর্ট তলব করেন।
মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী জানান, জমির মালিক মহম্মদ আতাউল্লার নামেই জমির মিউটেশন আছে। এবং নিয়মিত সে কলকাতা পুরসভার কাছে ট্যাক্স জমা দেয়। অথচ তারই জমি বলপূর্বক ভাবে দখল করে নেয়। জমির মালিক একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন শুধু তাই নয় কলকাতা পুরসভাকেও জানিয়েছেন, তারপরেও সেখানে পাঁচ তলা বেআইনি নির্মাণ হয়ে গেল অথচ কলকাতা পুরসভা জানতেই পারল না। কীভাবে কলকাতা পুরসভার অনুমতি ছাড়া তারা সেখানে বেআইনি নির্মাণ করল? কলকাতা পুরসভার কাছে অভিযোগ জানিয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি তারা। এটা একটা চূড়ান্ত অব্যবস্থার লক্ষণ। কলকাতা পুরসভা সঠিক সময় ব্যবস্থা নিলে মামলাকারিকে কলকাতা হাইকোর্টে ছুটে আসতে হতো না। কলকাতা পুর আইন ধারা ৩৯৩ ও ৪০০ তে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিত, সেটাও তাঁরা নেয়নি বলে অভিযোগ।
কলকাতা পুরসভার পক্ষের আইনজীবী জানান মেটিয়াবুরুজে বেআইনি পাঁচতলা নির্মাণের ক্ষেত্রে তারা কোনও অনুমতি নেয়নি। বিচারপতি কৌশিক চন্দের প্রশ্ন তাহলে কীভাবে চোখের সামনে অবৈধ নির্মাণ হয়ে গেল? পুরসভা জেনে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে? পুরসভা জানায় তারা তদন্ত শুরু করেছে। বিচারপতি কৌশিক চন্দের নির্দেশ, অবিলম্বে আগামী এক মাসের মধ্যে কলকাতা পুরসভা এই পাঁচ তলা বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে।