আপার প্রাইমারির নিয়োগে সুপার নিউমেরারি পদ তৈরির সিদ্ধান্ত খারিজ ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি থাকছে, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় খারিজ করে দিয়ে বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, চাকরি বহাল থাকবে বত্রিশ হাজার শিক্ষকের। এই রায় ৩২ হাজার প্রার্থমিক শিক্ষকরে মতো স্বস্তি দিয়েছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা কমিশনকেও। তবে স্বস্তির পরদিনই ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে সুপার নিউমেরারি বা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষায় সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করেছিল রাজ্য। আপার প্রাইমারিতে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে মোট ১৬০০ সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেইমত ২০২২-র ১৯ মে এবং ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়। বৃহস্পতিবার তা বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘রাজনৈতিক নৈতিকতার কাছে সাংবিধানিক নৈতিকতা কখনও মূল্যহীন হয়ে যায় না।’
প্রসঙ্গত, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখায় স্বস্তি পেয়েছিল রাজ্য সরকার। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উচ্চ আদালতের অন্য একটি রায়ে কার্যত ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ রেগুলার নিয়োগের মত সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করা যায় না। বিশেষ পরিস্থিতিতেই ওই পদ তৈরি করা হয়।
২০২২ সালের দু’টি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ। ফলে কর্মশিক্ষায় ৭৫০ ও শারীরশিক্ষায় ৮৫০ শূন্যপদে নিয়োগে সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে গেল। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ১৬০০ অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত ভুল। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে এ ভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা যায় না। মেয়াদ পার হয়ে যাওয়া ওয়েটিং লিস্ট থেকে এ ভাবে চাকরিও দেওয়া যায় না। ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকা চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সুপার নিউমেরারি বা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়। এই মামলার বাকি শুনানি হবে জানুয়ারি মাসে।